এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম অপদার্থ ইডি! নুসরতকে নিয়ে এমনটা হবে জানাই ছিল! আবার হতাশ জনতা!

চরম অপদার্থ ইডি! নুসরতকে নিয়ে এমনটা হবে জানাই ছিল! আবার হতাশ জনতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শুধু আসা যাওয়াই সার। পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সাহস যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নেই, তা যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় শুধুমাত্র ডাকাডাকি চলছে। আজকেও নুসরাত জাহানকে ফ্ল্যাট দুর্নীতি কাণ্ডে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘ ছয় ঘন্টা জেরা করার পর তাকে ছেড়ে দিল ইডি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ যে আশা, ভরসার জায়গাটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে শুরু করেছিলেন, তারা আবার সেই জায়গাটা হারাতে শুরু করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, আজ সকালে নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ঘড়ির কাঁটায় একের পর এক ঘন্টা পেরিয়ে যায়। কিন্তু কখন তিনি বের হবেন, তা নিয়ে কৌতুহল ছিল সব পক্ষ। অনেকেই বলেছিলেন, এতক্ষন যখন বের হলেন না, তখন হয়তো তাকে কেন্দ্র করে কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু না, সেই সমস্ত সম্ভাবনাতে কার্যত জল ঢেলে দিয়ে ইডি আবার তাদের অপদার্থতার প্রমাণ দিয়ে দিল। অবশ্য বছরের পর বছর ধরে যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছে, গরু, কয়লা নিয়ে যে সমস্ত তদন্ত চলছে, সেখানেই যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনো রাঘববোয়ালকে ধরতে পারছে না, তখন একবার জেরা করেই নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে, এমনটা অন্তত আশা করা যায়নি। ফলে সেটাই বাস্তব রূপ পেল। আর তাতে হতাশ হয়ে গেলেন জনতা জনার্দন।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে নুসরাত জাহান যে এই গোটা ঘটনায় জড়িত, তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, একটি কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে নুসরাত জাহান যে অর্থ নিয়েছেন, তা তিনি স্বীকার করেছেন। ফলে আইনগতভাবে তার সাজা পাওয়া উচিত। কিন্তু ইডি যে কিছু করবে না, তা বুঝতে পেরেছিলেন বিরোধী দলনেতাও। তাই তিনি এটাও স্পষ্ট করেছিলেন যে, ইডির ঠিকা তিনি নিয়ে রাখেননি। অর্থাৎ সব মহলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা কার্যত সমালোচিত হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও তাদের ঘুম ভাঙছে না। তারা যেভাবে এই ডাকাডাকি করছে, তার মধ্যেই মশগুল হয়ে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, জেরা করে নাকি সন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! পরবর্তীতে যদি আবার প্রয়োজন হয়, তখন নাকি আবার তারা নুসরাত জাহানকে ডাকবেন। ফলে যারা প্রতারণা করবে, যারা মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভাঙবে, তারা এভাবেই এসি ঘরে বসে দীর্ঘক্ষণ প্রশ্ন, উত্তরের জবাব দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বাড়ি গিয়ে আবার নিশ্চিন্তে ঘুম দেবেন। আর ইডির অপদার্থতা সাধারণ মানুষকে স্পষ্ট করে দেবে যে, জনতা জনার্দনকে এভাবেই আঙুল চুষে যেতে হবে। লাভের লাভ কিছুই হবে না। অন্তত তারা যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর মানুষ এত ভরসা রেখেছে, আদালত ভরসা রেখেছে, সেই ভরসার জায়গায় বারবার আঘাত আনবে সিজিও কমপ্লেক্সের কর্তারা। দুর্ভাগ্য হলেও এটাই সত্যি। তেমনটাই বলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!