এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত-গড়ে নারদ-নারদ – একদিকে অমিত শাহ আরেকদিকে তৃণমূল নেত্রীর সভা ঘিরে চূড়ান্ত ব্যস্ততা বীরভূমে

অনুব্রত-গড়ে নারদ-নারদ – একদিকে অমিত শাহ আরেকদিকে তৃণমূল নেত্রীর সভা ঘিরে চূড়ান্ত ব্যস্ততা বীরভূমে


বীরভূমে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। ২৩ জানুয়ারি জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভা করার পরেই ২৯ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা করার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারাপীঠে আসার কথা আগেই জানিয়েছিলেন নেত্রী। ওই একইদিনে মনসুবা মোড়ে প্রশাসনিক সভাও করতে পারেন,এমনটাই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য সভাকে ঘিরে তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে। জেলা পুলিশের তরফে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়ে গেল এদিন। এমনকি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ভালোভাবে পর্যবেক্ষণও করে এসেছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনই কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান না বীরভূম জেলা প্রশাসন। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত মিললে তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততা রয়েছে সিউড়িতে।

কারণ অমিত শাহের সভাকে নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মন্ডলের নিজস্ব ধান জমিতেই চলছে সভাস্থল তৈরির কাজ। হেলপ্যাড তৈরির কাজও প্রায় শেষের পথে। সভায় রেকর্ড পরিমান লোক জমায়েত করার জন্যে জেলায় জনসংযোগ বাড়ানোর কাজে মন দিয়েছেন বিজেপির কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন গ্রামে বৈঠক করছেন তাঁরা। তবে শাসকদল বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য বাস দিতে আপত্তি জানিয়েছে শাসকদল,এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। এই সমস্যা সমাধানে ঝাড়খন্ড থেকে বাস এনে সভাস্থলে লোক জমায়েত করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে,বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন,’এখানকার বাস মালিক সমিতি শাসকদলের ভয়ে বাস দেবে না। তাই বাধ্য হয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে বাস আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তবে বিজেপির এ অভিযোগ স্বীকার করেনি তৃণমূল। শাসকদলের জেলা সহ সভাপতি কটাক্ষ করে বলেন,জেলায় বিজেপির সমর্থন নেই। তাই ঝাড়খন্ড থেকে লোক এনে সভা ভরাতে হচ্ছে বিজেপিকে।

অন্যদিকে,বিজেপির সভাস্থলেই পাল্টা সভা করে দিলীপ ঘোষেদের টেক্কা দেওয়ার কড়া নিদান ১৯’এর ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকেও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই বীরভূমে অমিত শাহের সভার পাল্টা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল,এমনটাই ধারণা রাজনৈতিকমহলের। ২৩ জানুয়ারি বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ির ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় বীরভূমে সভা করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল।

দলনেত্রীর সভা যে শুধু প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডেই সীমিত থাকবে না তা বলাবাহুল্য। অমিত শাহের সভার পাল্টা দিতেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই অভিজ্ঞমহলের। তবে তৃণমূলের সভার ব্যাপারে এখনই কিছু খোলাসা করতে চাইছে না বীরভূম জেলা প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে জেলা স্তরের এক তৃণমূল নেতা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,গত ডিসেম্বর মাস থেকেই বীরভূমে অমিত শাহের নানা কর্মসূচি বাতিল হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি তাঁর সভা করার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রীর সভার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!