এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে হাইকোর্টের চরম নির্দেশ, স্বস্তির নিঃশ্বাস চিকিৎসকদের

এবার আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে হাইকোর্টের চরম নির্দেশ, স্বস্তির নিঃশ্বাস চিকিৎসকদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উৎসবের আবহে এবার নতুন সমস্যা শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি পোড়ানো বন্ধ নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন অনেকেই। এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে উৎসবের আবহে বাজি পোড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা চলছে হাইকোর্টে এবং হাইকোর্ট পরিষ্কার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে, এবছর উৎসবের আবহে পশ্চিমবঙ্গে কোন রকম আতশবাজি পুড়বে না। দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ এই মুহূর্তে কিছুটা কম হলেও আশঙ্কা কিন্তু এখনো যাচ্ছে না। কারণ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কিন্তু যে কোন মুহূর্তে দ্বিতীয়বার মহামারী আকারে ফিরে আসতে পারে।

করোনা যেহেতু মারাত্মক ক্ষতি করে শ্বাসযন্ত্রের, তাই এ বছর বায়ুদূষণের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বেশি। শব্দবাজি যেরকম শব্দদূষণ করে, আতশবাজি সেরকম অতিরিক্ত মাত্রায় বায়ুদূষণ করে। আর সেক্ষেত্রে করোনা আবহে প্রচুর মানুষ কিন্তু চরম বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বাজি না পোড়ানোর জন্য শুধুই দায়সারা অনুরোধ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। রাজ্যের বিভিন্ন স্তর থেকে এবছর বাজি পোড়ানোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। তবে বাজি ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ কিন্তু বাজি পোড়ানো বন্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

কারণ তাঁদের মতে, করোনা আবহে এবার যদি বাজি বিক্রি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাঁদের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে যাবে। অন্যদিকে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, বিভিন্ন ক্লাবকে যখন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদান দিচ্ছেন মোটা টাকা- তখন খেটে খাওয়া মানুষজন কিংবা প্রান্তিক মানুষদের জন্য তিনি অর্থ সহায়তা কেন করছেন না? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাজি বিক্রি করে বিক্রেতারা যা লাভ করতেন, তার একাংশ যদি রাজ্য সরকার তাঁদের অনুদান হিসেবে বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়, তাহলে কিন্তু এই সমস্যা থাকেনা। উদাহরণ হিসেবে রাজস্থানের কথা বলা যেতেই পারে। কারণ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবছর রাজ্যে বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাজি পোড়ানো বন্ধ নিয়ে রাজস্থান বিধানসভায় একটি বিল পাস করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজস্থান সরকার মাস্ক না পড়া নিয়েও কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, সাধারণ মানুষ এখানে কতটা নির্লিপ্ত মাস্ক পড়ার ব্যাপারে। এবং মাস্ক না পড়লেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। অন্যদিকে রাজ্যে কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজই প্রায় চার হাজারের ঘরে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও রয়েছে প্রায় 60 এর আশেপাশে। এই অবস্থায় পরিবেশকর্মীরা কিন্তু রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বাজি পোড়ানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকার কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করলো না? উঠেছে প্রশ্ন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন? বাজি বিক্রেতাদের ব্যবসায় চোট দিলে কি ভোটবাক্সে কোনরকম ছাপ পড়বে? আর সেজন্যই কি মুখ্যমন্ত্রী বাজি বিক্রি বন্ধের ব্যাপার নিয়ে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না? প্রশাসনকে জনস্বাস্থ্যের কথা আগে ভাবতে হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট কড়া পদক্ষেপ জারি করেছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- কালীপুজো, ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোসহ কোনোকিছুতেই এ বছরে কোন রকম আতশবাজি পোড়ানো চলবে না।

যথারীতি হাইকোর্টের এই নির্দেশকে একদিকে যেমন স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা, সেরকমই অন্যদিকে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরাও স্বাগত জানাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, দুর্গা পুজোর প্রাকমুহুর্তে হাইকোর্টের নির্দেশ দুর্গাপুজোর ভিড়ে কিছুটা লাগাম দিতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্গাপূজায় যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল, কালীপুজোর ক্ষেত্রেও সেই নির্দেশ জারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত আতশবাজি পোড়ানো বন্ধের নির্দেশে হাঁফ ছেড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!