প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছে, একথা কারও অজানা নয়। প্রচুর মানুষের মৃত্যু সেই হিংসার দিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে সরকারি আমলাদেরকেও কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে মেশিনারি কাজ করা হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবকে নিয়ে ভয়ংকর অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের ফোন করে তৃণমূলকে জেতানোর কথা বলেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মুখ্যসচিব নিজে জেলাশাসককে ফোন করে তৃণমূলকে জেতানোর কথা বলেছেন। আপনারা খোঁজ নিন, খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। যিনি বর্তমানে মুখ্যসচিব রয়েছেন, তিনি এই কাজ করেছেন।”

একাংশ বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই দাবি অত্যন্ত মারাত্মক। বিভিন্ন সময় বিজেপি দাবি করে, সরকারি আমলাদের কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় বসে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশদের দলদাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলকে জয়লাভ করাতে মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে জেলা শাসককে দেওয়া নির্দেশ নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটালেন সুকান্ত মজুমদার।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকারি অফিসারদের যে ভোটে জিততে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজে লাগাত তৃনমূল কংগ্রেস, তার নমুনা একাধিকবার সামনে এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাত্রিবেলা বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বেশ কিছু দাপুটে নেতাদের গননা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

আর এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ব্লক স্তরের আধিকারিকরা বলেও অভিযোগ বিজেপির। তবে শুধু ব্লক স্তরের আধিকারিকরাই নয়, একেবারে শীর্ষস্তর থেকে তৃণমূলকে জেতানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যসচিবকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।