Breaking News, বিশেষ কারণে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন না মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য January 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস ও রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন তিনি। তবে, মুখ্যমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি। তিনি জানিয়েছেন যে, মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর ইস্তফায় পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। এ কারণেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি তিনি। তবে মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে অপসারণ করলেন তিনি। নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোন একজন মন্ত্রীকে যদি পদত্যাগ করতে হয়, তবে তাঁর পদত্যাগপত্র প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁকে পাঠাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তা করেননি। তিনি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে প্রথমে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। এ কারণেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বলে জানানো হয়েছে। তবে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির অফিসে গিয়ে, প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি গিয়েছিলেন রাজভবনে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, আজ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসেই প্রথম ইস্তফাপত্র তিনি তুলে দেন। এরপর তিনি রাজভবনে যান রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করতে। তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল। রাজভবন থেকে বেরোনোর পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। দলের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, আড়াই বছর আগে তিনি পদত্যাগ করতে চেয়ে ছিলেন। তাঁর ইস্তফা পত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। এরপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়েছেন যে, তাঁর ইস্তফাপত্র তিনি গ্রহণ করেছেন। আজ মন্ত্রিত্ব থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন যে, তাঁর নিশ্চয়ই মনে হয়েছে যে, তৃণমূল থেকে তিনি কাজ করতে পারছেন না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো মাফিয়া রাজ চালাচ্ছেন। এ কারণে মন্ত্রীরা কাজ করতে পারছেন না। আর যিনি অভিমানী ব্যক্তি তিনি, তিনি তৃণমূলে থাকতে পারেন না। কারণ, যারা কাজ করতে চান, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। আগামী দিনে হয়তো আরো অনেকে তৃণমূল ছেড়ে দেবেন। কারণ তৃণমূলে তাদেরকেই কদর করা হয়, যারা ভ্রষ্টাচার, সিন্ডিকেট রাজ, মাফিয়া বাজির সঙ্গে যুক্ত আছেন। আপনার মতামত জানান -