এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breking রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা! মাস্টারস্ট্রোক মমতার

Big Breking রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা! মাস্টারস্ট্রোক মমতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অতীতে শুভেন্দু অধিকারী যখন মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তখন তার ছেড়ে যাওয়া মন্ত্রী পদ নিজের হাতেই রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তখন বনমন্ত্রীর দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তবে ভোটের আগে তেমন ভাবে কাউকে এই দায়িত্ব না দিয়ে, এবার সেই বনমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্র মারফত খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে যাওয়া বনদপ্তর এখন কারও হাতেই তুলে দিতে চাইছেন না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাই নিজেই এই দায়িত্ব সামলাতে চাইছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। দলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বেসুরো মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। যার পরবর্তীতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও যে বরফ গলেনি, তা শুক্রবার প্রমাণ হয়ে গেল। যেখানে রাজ্যের বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে তার ছেড়ে যাওয়া এই দপ্তর কে সামলাবে, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া বনদপ্তর এবার নিজের হাতেই নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলত্যাগ করার পর তার ছেড়ে যাওয়া সমস্ত দপ্তর নিজের হাতেই রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও সেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর প্রধান কারণ, যাতে সেই মন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়া হেভিওয়েট নেতা কোনো কারণে দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ না করেন। কেননা তৃণমূল দলে বা মন্ত্রিসভায় শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্ব বিদ্রোহীদের মান ভাঙাতে সবথেকে বেশি তৎপর হতে শুরু করেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্ব মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর যদি তার দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে রাজীববাবু আরও বেশি মন ক্ষুন্ন হতে পারেন। তাই শেষ মুহূর্তে তাকে না চটিয়ে নিজের হাতেই তার ছেড়ে যাওয়া দপ্তর রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া বন দপ্তর কার হাতে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!