এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিকের কথাতেই সীলমোহর দিয়ে ছাত্র-যুবদের আধিক্য বাড়ছে তৃণমূলে, প্রস্তুতি শুরু দিল্লি দখলের!

পিকের কথাতেই সীলমোহর দিয়ে ছাত্র-যুবদের আধিক্য বাড়ছে তৃণমূলে, প্রস্তুতি শুরু দিল্লি দখলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   যদি দলে বৃদ্ধতন্ত্র জাঁকিয়ে বসে, তাহলে তাকে আটকানো সমস্যা হবে। তাই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য বাংলা দখল করার পরেই সংগঠনকে নতুন রূপ দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তার লক্ষ্য, 2024 এ দিল্লি দখলের নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে দলকে প্রতিষ্ঠা করা। আর সেই কারণে বাংলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করে এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে বাংলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ছাত্র এবং যুবদের ভূমিকা যে অপরিহার্য, তা মেনে নিয়ে এবার বিভিন্ন জেলার সংগঠনে মাদারের নেতা অপেক্ষা ছাত্র এবং যুব নেতাদের বেশি আধিক্য দেখা দেবে বলেই মনে করছেন শাসক দলের একাংশ। এক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বড় রদবদল হতে চলেছে। তবে সেই রদবদলে সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে “এক ব্যক্তি, এক পদ” নীতি। কেননা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই নীতি সংগঠনের ক্ষেত্রে লাগু করেছে শাসকদল। সেদিক থেকে যারা একাধিক পদে আছেন, তারা মাদার সংগঠনের জেলার শীর্ষ পদে থাকতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। আর যে সমস্ত মাদারের নেতারা শীর্ষ পদে থাকতে পারবেন না, তাদেরকে সরিয়ে সেখানে ছাত্র এবং যুব সংগঠনের দাপুটে নেতৃত্বদের জায়গা দেওয়া হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
.

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তরুণ শক্তির ওপর ভরসা রেখেই আগামী দিনে ভারত জয় করতে তৎপর। আর সেই কারণেই কিছুদিন আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করে সেই বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন তিনি। আর তাই একাধিক জেলার সংগঠনের তরুণ মুখকে সামনে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াই আরও জোরালো করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বর্তমানে বাংলার বাইরে সেভাবে তৃণমূলের সংগঠন নেই। তবে ধীরে ধীরে অন্যান্য রাজ্যগুলোতে সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। তবে বাংলায় সংগঠনকে মজবুত না করে যে অন্য রাজ্যে পা দেওয়া ঠিক হবে না, তা বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার একাধিক জেলার সংগঠনে বদল আনতে চাইছেন তিনি।

তবে এতদিন কোন নেতার বদলে মাদার সংগঠনে কোন নেতা দায়িত্বে আসবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার সংগঠনকে চনমনে করে তুলতে অনেক জায়গাতেই মাদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সরিয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় অপেক্ষাকৃত তরুণ ছাত্র এবং যুব সংগঠন থেকে তুলে আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে‌।

একাংশ বলছেন, তৃণমূলের হয়ে বর্তমানে টিভি চ্যানেলে যুক্তি-তর্কে অংশ নিতে দেখা যায় অনেক তরুণ ছাত্র এবং যুবনেতাদের। যারা বিরোধী দলের অনেক বাঘা বাঘা নেতাদের নিজেদের যুক্তির মধ্যে দিয়ে পেছনে ফেলে দেন। তাই সেই সমস্ত গ্রহণযোগ্য তরুণ তুর্কি মুখকে সংগঠনের শীর্ষে এনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই আরও জমিয়ে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সমস্ত কিছুই যে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে কোন কোন জেলার সংগঠনে তরুণদের আধিক্য বেশি থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!