প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কিছুদিন আগেই দিল্লি থেকে ঘুরে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে তলব করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। হঠাৎ করে ঠিক কি কারণে তার এই দিল্লি সফর, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও তৈরি হয় গুঞ্জন।

এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর এই দিল্লি সফর নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লি থেকে ঘুরে আসার কিছুদিনের মধ্যেই আবার দিল্লিতে তলব করা হল পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। স্বাভাবিক ভাবেই বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু বাবুকে দিল্লিতে তলব করা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

কিছুদিন আগেই দিল্লি থেকে ঘুরে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে তলব করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। হঠাৎ করে ঠিক কি কারণে তার এই দিল্লি সফর, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও তৈরি হয় গুঞ্জন।

এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর এই দিল্লি সফর নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লি থেকে ঘুরে আসার কিছুদিনের মধ্যেই আবার দিল্লিতে তলব করা হল পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। স্বাভাবিক ভাবেই বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু বাবুকে দিল্লিতে তলব করা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

সূত্রের খবর, সোমবার শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা বিষয় উঠে আসতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, রাজ্যে যেভাবে লাগাতার হিংসা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি তারপরে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন।

আর রাজ্যপাল দিল্লি থেকে ফিরতে না ফিরতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে তলব করার পেছনে বাংলার সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার কোনো বড় কৌশল তৈরি হতে পারে বলেই দাবি করছেন একাংশ। অনেকে আবার বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক বদল হতে পারে। নির্বাচনের পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করেছেন। তাই সেদিক থেকে বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে সংগঠনের ক্ষেত্রে বড় কোনো দায়িত্ব দিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আবার দিল্লিতে তলব করা হল।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বহু চেষ্টা করেও বিজেপি এবার তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। এবার তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলা দখল করা। কিন্তু 77 টি আসন পেয়ে বিজয়রথ থেমে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে গেরুয়া শিবির। তবে হিংসা থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে বর্তমানে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তাই সেই শুভেন্দুবাবুকে আবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দিল্লিতে তলব করার ঘটনাতেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল, তাকে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে ঠিক কি কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করা হল, এখন সেটাই প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সাংগঠনিক কোনো বিষয়ে, নাকি তৃণমূল সরকারকে চাপে রাখতে পরিষদীয় কোনো ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হবে নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ককে, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।