এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের, তবে কোন মূল্যে?

তৃণমূলে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের, তবে কোন মূল্যে?


কলেজ শিক্ষিকা বৈশাখীর সাথে ঘনিষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে পর্ণশ্রীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দূরত্ব বাড়ে স্ত্রী রত্না ও ছেলেমেয়ের সাথে। সম্প্রতি একটি বৈঠকে বৈশাখীর বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত পান শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর এদিন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে শোভন বাবুর কাছে ফোন আসে। হয় দল অথবা বৈশাখীকে বেঁচে নেওয়ার কথা বলা হয় তাঁকে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আর এর পরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিলেন। সব মোহো ছেড়ে বন্ধুত্বের ইতি টেনে এদিন তিনি দলে থাকার কথা জানান। এই বিষয়ে বৈশাখীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ”দল এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।” শোভনবাবুর পাশে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, ”শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায় কেন, যি‌নিই বিপদে পড়ে সহায়তা চাইবেন, তাঁর পাশে দাঁড়াব।” তাঁদের বন্ধুত্বের কথা জানাজানি হতে বৈশাখীকে ওয়েবকুপা-এর পদ থেকে সরানো হয়। জানা গেছে শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না ও শশুর দুলাল দাস বৈশাখীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করে শোভনবাবু বৈশাখীর পুনর্বাসন ও সামাজিক হেনস্থার দাবি জানিয়ে দলীয় কাজ থেকে বিরত ছিলেন। সবশেষে প্রতিকার ও পুনর্বাসন না হলেও দলে ফিরলেন মেয়র। এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর দায়িত্ব দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার আদেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে শোভনবাবুকে দেওয়া হয়। যদিও এই বিষয় তিনি বলেন, ”করুণাময়ীতে একটি রক্তদান শিবিরে গিয়েছিলাম। সেখানে সুব্রত বক্সিও ছিলেন।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!