এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ত্রিলোচন খুনে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, বাড়ছে অস্বস্তি

ত্রিলোচন খুনে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, বাড়ছে অস্বস্তি


পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর দলীয় কর্মী খুনের অভিযোগে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। কখনো পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তো কখনো দলীয় কর্মীদের ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আর এসবের মাঝেই এবার পুরুলিয়ার বলরামপুরে নিহত বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতোর খুনের ঘটনায় বড়সড় পদক্ষেপ নিল সিআইডি। গতকাল সুপুরডি গ্রামের বাসিন্দা পাঞ্জাবি মাহাতোকে ত্রিলোচন মাহাতো হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ধৃত পাঞ্জাবি মাহাতোর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। অনেকেই দাবি করছেন, প্রথমদিকে সে সিপিএম করলেও পরের দিকে তিনি বিজেপির সমর্থক ছিলেন।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে সক্রিয়ভাবে তিনি যে কোনো রাজনৈতিক দলই করতেন না তা স্পষ্ট করেছেন তার পরিবার প্রিয়জনেরা। এদিন ধৃত পাঞ্জাবি মাহাতোর কাকা কবিরাজ মাহাতো বলেন, ও কোনোভাবেই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে না। চাষবাস নিয়েই থাকে – আগে মদ বিক্রি করত, তবে তা বহুদিন আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। তবে পাঞ্জাবি মাহাতোর পরিবারের দাবি যাই হোক না কেন – এই নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। পুরুলিয়া জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, ধৃতের সঙ্গে তৃনমূলের কোন সম্পর্ক নেই, তবে ও এখন বিজেপি সমর্থক। অন্যদিকে পাল্টা বিজেপির দাবি, এই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের দল কোনোভাবেই জড়িত নয়। তবে নিহত বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতোর মা ও কাকা বলেন, সিআইডি আসল অভিযুক্তদের পরিবর্তে অন্যদের গ্রেপ্তার করছে। যাঁরা আমাদের পরিবারকে আগলে রেখেছে তাঁদেরই গ্রেপ্তার করছে সিআইডি। তবে তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় পাঞ্জাবি এই ঘটনায় যুক্ত তাহলে আমাদের আপত্তির কিছু নেই।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই পুরুলিয়ায় দলীয় কর্মী খুনে চাপানউতর চলছে শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে। এখন সেই খুনে সিআইডির জালে পাঞ্জাবি মাহাতো ধরা পড়লেও তাতে আদৌ সন্তুষ্ট নয় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাসিন্দারা। স্থানীয়মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে পাঞ্জাবি মাহাতোর গ্রেপ্তারি আসলে রাজনৈতিক অভিসন্ধি, কেননা পুরুলিয়ায় দুদিনের মধ্যেই পা পড়ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। আর তিনি আসা মানেই, সর্বভারতীয় মিডিয়াও হাজির হবেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সামনে অমিত শাহ এই খুনের ঘটনা তুলে ধরে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলে চাপ বাড়াবেন। আর তাই সামাল দিতেই তড়িঘড়ি পাঞ্জাবি মাহাতোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেননা আপাত-নিরীহ পাঞ্জাবি মাহাতো কেন খুন করল সেই ‘মোটিভই’ এখনো পরিষ্কার নয় সিআইডির কাছে। ফলে এই ধরনের রাজনৈতিক ‘হাই-প্রোফাইল’ মামলায় গ্রেপ্তারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!