এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ডেঙ্গু নয়, সবটাই নাকি অজানা জ্বর ! সত্য সামনে আসতেই খাবি খাচ্ছেন মমতা ?

ডেঙ্গু নয়, সবটাই নাকি অজানা জ্বর ! সত্য সামনে আসতেই খাবি খাচ্ছেন মমতা ?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি সামলাতে কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার। কিন্তু এবার কি তথ্যের ধামাচাপা দিতেও তৎপরতা দেখাতে শুরু করলেন তৃণমূল সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা? এক সময় দেখা গিয়েছিল, করোনা মহামারী যখন শুরু হয়েছিল, তখন একের পর এক মানুষের মৃত্যু মিছিল রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল পরিকাঠামো ব্যবস্থা নিয়ে। আর সেই সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, অনেক মৃত্যু হলেও সেক্ষেত্রে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তথ্য গোপন করছে। আর এবার ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও কি সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্যের পর এই প্রশ্ন আরও মাথাচাড়া দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আপনারা ডেঙ্গু বলছেন কেন? এসব ডেঙ্গু নয়। অজানা জ্বর। কারণ আপনারা যদি ডেঙ্গু বলেন, তখন আবার সরকার আপনাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। তারা তো তথ্য গোপন করতে চাইছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, যদি সুকান্তবাবুর এই বক্তব্য সঠিক হয়, তাহলে আর কত নীচে নামবে এই রাজ্যের অপদার্থ সরকার? যে তথ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে ৩০ হাজার অতিক্রম করে গিয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। সেক্ষেত্রে যদি সত্যিই তথ্য গোপন করে রাজ্য সরকার, তাহলে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা কত? যে কোনো সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু তাকে তো মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু তা না করে উল্টে ধামাচাপা দেওয়ার এই নির্লজ্জ প্রয়াস কবে বন্ধ করবেন খেলা, মেলা, উৎসবের সৃষ্টি করা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

অনেকে বলছেন, কিছুদিন আগেই এই ডেঙ্গু পরিস্থিতি যে মারাত্মক আকার নেবে, তা বুঝতে পেরেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই মুখ্যমন্ত্রী যখন বিদেশ সফর করতে ব্যস্ত রয়েছেন, তখন তিনি প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে দেখা করে এই সমস্যার কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন‌। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করার সময় হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর অবর্তমানে রাজ্যের দায়িত্ব সামলানো গোপালিকা সাহেবের। আর এখন এই সরকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমত ব্যার্থ। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বারবার সরকারি ব্যর্থতাকেই দায়ী করছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বড় বড় নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। কিন্তু এতদিন কোথায় ছিল তাদের এই তৎপরতা! সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার পর এই ধরনের বড় বড় নির্দেশ দিয়ে আদৌ কি লাভ হবে? চিকিৎসক মহলেও এই ব্যাপারে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভিন্ন সময় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এই সরকারের তথ্য গোপন করার প্রয়াস নতুন কিছু নয়। করোনার সময় বারবার মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গির ক্ষেত্রেও কি এই নির্লজ্জ রাস্তা বেছে নিয়েছেন জনদরদী রাজ্য সরকার? সুকান্তবাবুর অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে আগামী দিন শাসকের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ংকর। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে একটা বড় মাপের ক্ষোভ।একদিকে সরকারের ব্যর্থতা তাদের সামনে যেমন উঠে আসছে, ঠিক তেমনই তথ্য গোপনের মারাত্মক অভিযোগ শাসকের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ময়দানে নামতে পারে বিরোধীরা। যার ফলে প্রমাণ হয়ে যেতে পারে যে, মানুষের জীবন নিয়েও ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেছেন এই রাজ্য সরকার। আর বিরোধী শিবিরের সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষদের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদে নামা হলে রীতিমতো হাবুডুবু খেতে হবে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!