এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ চূড়ান্ত ফ্লপ, দ্বিচারিতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু!

বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ চূড়ান্ত ফ্লপ, দ্বিচারিতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের বাম এবং কংগ্রেস নেতারা অনেক বেশি লাফালাফি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাদের অনেক অভিযোগ যে, তৃণমূল নাকি দুর্নীতি করছে, পিসি ভাইপো চোর ইত্যাদি, ইত্যাদি। কিন্তু তৃণমূল সরকারের আমলে এই বাম এবং কংগ্রেসের দল থেকেও দুজন বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তারা কতটা কাজ করেছেন, আর এখন বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী কি কাজ করছেন, সেটা রাজ্যের মানুষ খুব ভালোভাবেই প্রত্যক্ষ করতে পারছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বাংলায় চোর বলা পিসি-ভাইপোর সঙ্গে বাম এবং কংগ্রেস নেতারা এক টেবিলে বসছেন, সেখানে বসে তারা বিরিয়ানি খাচ্ছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আবার বাংলায় এসে সেই পিসি ভাইপোকে আক্রমণ করছেন। ফলে এটা কি ধরনের রাজনীতি, তা রাজ্যের মানুষেরও ভাবার বাইরে। তাই আজ যখন সমস্ত টেলিভিশন মিডিয়া বড় বড় করে ফোকাস করছে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশকে, সেখানে একেবারে সাত সকালে সেই সমাবেশ নিয়ে বামেদের ভাঁওতাবাজির রাজনীতি এবং দ্বিচারিতার পর্দা ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বামেদের যুব ব্রিগেড খুব লাফালাফি করছে যে, তাদের আজকের এই সমাবেশ নাকি হিট হবে! তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথ দেখাবে! আর সেই সময় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে কথা বললেন, তাতে বিরোধী ভোটব্যাঙ্ক কার্যত সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন নন্দীগ্রামে অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে বামেদের এই ব্রিগেড নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এদের কোনো অস্তিত্ব নেই। মীনাক্ষী বাংলায় বলবে, পিসি চোর ভাইপো চোর, আর দিল্লিতে ওর জ্যাঠা সীতারাম ইয়েচুরি এদের সঙ্গে বসে বিরিয়ানি খাবে। সুতরাং এদের কে বিশ্বাস করবে? এসব করে কোনো লাভ নেই। দিল্লিতে এক কথা, আর বাংলায় আর এক কথা।” একাংশ বলছেন, এটা তো অত্যন্ত সত্যি কথা যে, রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চাইছেন। কিন্তু সেখানে প্রকৃত মুখ কে? কে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে! শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া নেতা কোথায়? ফলে সেখানে দাঁড়িয়ে বামেরা বাংলায় অনেক কথা বলছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু দিল্লির সর্বভারতীয় নেতারা যখন সেই তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সঙ্গেই বসে এক টেবিলে বিজেপির বিরুদ্ধে আলোচনা করছেন, তখন বাংলার নেতারা কেন মুখ বুজে রয়েছে! তাদের লড়াইয়ের কৌশল কি হবে, সেটা তারা নিজেরাই জানেন না। ফলে বাংলায় এসব তৃণমূলের বিরুদ্ধে লোক দেখানো রাজনীতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং তার সঙ্গী সাথীরা করতেই পারে। কিন্তু তাদের দলের সর্বভারতীয় নেতারা যদি চাপিয়ে দেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হবে, তখন এই ব্রিগেডের দশা অশ্বডিম্ব হবে বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বামেরা এইসব করে তৃণমূলকে সুবিধে করে দিচ্ছে। বিজেপি যে লড়াইটা লড়ছে, তাতে রাজ্যের মানুষ সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু সুবিধাবাদী রাজনীতি করতে গিয়ে দ্বিচারিতার রাজনীতি পর্দাফাঁস হয়ে যাচ্ছে বামেদের। তাই এসব সমাবেশ করে কোনো লাভ হবে না। বাংলার মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই বিজেপির করছে, তাদের সঙ্গেই রয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বামেদের বাংলার নেতারা যদি সত্যিই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান, তাহলে তাদের তো উচিত তৃণমূলের সঙ্গে এক টেবিলে না বসা। সর্বভারতীয় নেতাদের কাছে নিজেদের প্রস্তাব পৌঁছে দেওয়া যে, তৃণমূলের সঙ্গে আমরা কোনোমতেই জোট করব না। কিন্তু সেটা না করে তারা বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, আবার দিল্লিতে নিজেদের নেতাদের বক্তব্যে রাজি হয়ে গিয়ে সেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে এক টেবিলে আলোচনা করবেন, এটা কিভাবে সম্ভব? ফলে বামেরা কি চায়, সেটা তারা নিজেরাই জানে না। আর যদি তারা জানেও, তাহলেও একটা জিনিস পষ্ট হচ্ছে যে, তারা দ্বিচারিতার রাজনীতি করে যাচ্ছে। বাংলার মানুষকে সর্বনাশের মুখে ফেলে এই তৃণমূলের অত্যাচার থেকে যখন মানুষ রক্ষা পেতে চাইছেন, যখন সকলে বিজেপির ছাতার তলায় আসতে চাইছেন, তখন তাদের ভুল লাইনে নিয়ে গিয়ে সেই তৃণমূলকেই সুবিধা করে দিয়ে এই সমস্ত সমাবেশ করছেন পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতা-নেত্রীরা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!