এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলো

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলো


ফের বিতর্ক ছড়ালো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নিয়োগ নিয়ে। জানা যাচ্ছে যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ চালু করা হয়েছে গত বছর থেকে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো শিক্ষক সেখানে না ঠায় অসুবিধায় পরে কতৃপক্ষ তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হবে। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।
আর সেই মতো গত শনিবার দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হয়| কিন্তু এই নিয়োগ করা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক| এই বিতর্কের কারণ হলো আরবি বিভাগে দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ হলেও সিলেকশন কমিটির প্রধানকে না জানিয়েই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

কেন উঠলো অভিযোগ? বা অনিয়মটাই কি? জানা যাচ্ছে UGC-র নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিভাগে নিয়োগ করতে গেলে প্রথমে সিলেকশন কমিটির প্রধান, ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের একজন প্রতিনিধি ও একজন উপাচার্যের প্রতিনিধি সহ মোট পাঁচজন সদস্য সহ সিলেকশন কমিটি গঠন করতে হয়। এখানে আরবিতে নিয়োগের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে প্রধান ছিলেন বাংলা বিভাগের প্রধান ডঃ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ তাঁকে বাদ দিয়েই নাকি সিলেকশন কমিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগের ইন্টারভিউ নেয়।
অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এদিন এই প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “ডঃ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়কে রাখা হয়নি কারণ উনি সাবজেক্ট এক্সপার্ট নন। আসলে সিলেকশন কমিটিতে বিভাগীয় প্রধানের উপযুক্ত ডেজ়িগনেশন না থাকলে তিনি থাকতে পারেন না। এছাড়া আমাদের প্রধান তো ডিন অফ আর্টস। তিনিও ছিলেন। তাই যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এর পরেই নতুন প্রশ্ন এসে উপস্থিত তা হলো যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাঁরা হলেন দর্শন শাস্ত্রের অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন ও টুরিজম ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ডঃ বিভরাজ ভূষণ পারিরা।ফলে তাঁরাও তো সাবজেক্ট এক্সপার্ট নন। তাহলে সেখানে কেনো জানানো হলো না বাংলা বিভাগের প্রধান ডঃ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়কে? সে প্রশ্নের উত্তর এখনো নেই কারুর কাছে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!