এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > আবার বিদ্রোহ চন্দননগর পুরসভায়, ভাঙন কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?

আবার বিদ্রোহ চন্দননগর পুরসভায়, ভাঙন কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?


চন্দননগর পুরসভায় কাউন্সিলারদের বিদ্রোহের আগুন আবারো তীব্রতর, জেলা বা রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ত্বের বহু প্রচেষ্টাতেও কিছুতেই তা নেভানো যাচ্ছে না। ফলে রাজনৈতিক মহলে গুঁজে তীব্র হয়েছে – এবার কি তবে চন্দননগর পুরসভায় তথা জেলা তৃণমূলে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী? বিদ্রোহ ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলারের বক্তব্য, গত দশ মাস ধরে কিছু পুরকর্তার দুর্নীতি, অপকর্ম, স্বজনপোষণ, পরিষেবা, কেনাবেচা ও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই ওই সমস্ত পুরকর্তাদের কলঙ্কের দায়ভার তাঁরা বহন করতে না পেরে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু দলের রাজ্য নেতৃত্বের আশ্বাসে ফের নিজ নিজ কাজ ও বোর্ড সভায় অংশ নিয়েছিলেন। তারপরেও ওই পুরকর্তাদের আচরণ, ব্যবহার ও কাজকর্মে কোনও পরিবর্তন আসেনি। বরং এখনও বুক ফুলিয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই যতদিন দুর্নীতিগ্রস্ত পুরকর্তাদের অপসারণ বা পরিবর্তন করা হচ্ছে, ততদিন তাঁরা পুরসভায় নিজ দপ্তর, বরো অফিস ও কোনও সভায় হাজির থাকতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, ৩৩ আসন বিশিষ্ট চন্দননগর পুরসভায় বামেরা ৮ টি, বিজেপি ১ টি ও বাকি ২৪ টি আসন বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই শাসকদলের কাউন্সিলারদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। মেয়র ও দুই কাউন্সিলার পুরসভার সমস্ত কিছু নিজেদের মতো করে চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। প্রথম দিকে কাউন্সিলাররা বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে তার প্রতিবাদ করেন। ১৮ আগস্ট স্বজনপোষণ, কাজে অনিয়ম সহ একগুচ্ছ অভিযোগের প্রতিবাদ করে তিন বরো চেয়ারম্যান ও মেয়র পরিষদ সদস্য পদত্যাগ করেন। মেয়র ও তাঁর অনুগামীদের অনিয়মের একগুচ্ছ প্রমাণসহ ১৪ জন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলার দলের জেলা সভাপতি, রাজ্য সভাপতি ও পুরমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানান। গণ্ডগোল মেটাতে প্রথমে জেলাস্তরে ও পরে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা সভাপতি ও সংসদ সদস্য। পরে নভেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সমস্ত কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সেখান থেকে সাময়িক সমাধানসূত্র মিললেও, বর্তমানে আবারো অবস্থা বেগতিক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষনেতৃত্ত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, তবে অচিরে এই ‘দুর্নীতির’ কোনো স্থায়ী সমাধান না হলে প্রবল ভাঙন দেখা যেতে পারে পুরসভা তথা জেলা তৃণমূলে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!