এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শেখ শাহজাহান কোথায়? সাত সকালেই গোপন খবর দিলেন শুভেন্দু! উত্তাল বাংলা!

শেখ শাহজাহান কোথায়? সাত সকালেই গোপন খবর দিলেন শুভেন্দু! উত্তাল বাংলা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পিসি এবং ভাইপো মিলে এই রাজ্যে কিছু মডেল তৈরি করেছেন। যে মডেলরা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি থেকে শুরু করে এই বাংলাকে দেশদ্রোহী করার জন্য যথেষ্ট। শুভেন্দু অধিকারী বারবার এই রাজ্যের বুকে কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে বলেছেন যে, এরা বাংলার সর্বনাশ করছে। আর সেই রকমই এক তৃণমূল নেতার কীর্তি সম্প্রতি ধরা পড়েছে। যার নাম শেখ শাহাজাহান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে গিয়েছে, আর তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে এই দাপুটে নেতার নির্দেশে। যার পর থেকেই তিনি কার্যত পলাতক। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ তিনি যে নিজেও দোষ করেছেন, তা বুঝতে পারছেন। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই দেশের সব কটি বিমানবন্দরে এই শেখ শাহজাহানের নামে জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিশ। আর এসবের মাঝেই রবিবার সাতসকালে সেই তৃণমূল নেতাকে নিয়ে ভয়ংকর তথ্য দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনেকেই বলছেন, শেখ শাহাজাহান অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন। আবার অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এসবের ঊর্ধ্বে উঠে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “না না, ও বাংলাদেশে নেই। ও সন্দেশখালীর এক পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে আছে।” এখন প্রশ্ন হচ্ছেড় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এই তথ্য পৌঁছলো কি করে? তবে সেই সমস্ত কিছুর থেকেও বড় প্রশ্ন যে, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের চুরি, দুর্নীতি থেকে শুরু করে গা ঢাকা দেওয়া নেতাদের সব তথ্য পাচ্ছেন। কিন্তু কেন সেই তথ্য হাতে রাখতে পারছেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা? তাহলে কি তারা গা ঢিলে দিয়ে কাজ করছে! নাকি সত্যিই তাদের কাছে এই ব্যাপারে কোনো খবর নেই? যদি নাই থাকে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে অবিলম্বে এত বড় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা শেখ শাহজাহানের মত নেতাকে গ্রেপ্তার করে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই শাহজাহান মডেলরাই তো পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যাদেরকে আলালের দুলাল করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা করা এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া উচিত। বাংলাকে লুটেপুটে খেয়ে দুর্নীতির আতুরঘর বানিয়ে এরা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। তাই যেখানেই থাকুন না কেন, অবিলম্বে এই শেখ শাহজাহানকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই শেখ শাহজাহানের নাম কিন্তু আজ থেকে বলতে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি যেদিন থেকে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন, সেদিন থেকেই তিনি বেশ কিছু নেতার নাম নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, কোন ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাংলার বুকে! অবশেষে সেই শেখ শাহজাহানের দাপট কতটা, তার ঔদ্ধত্য কতটা, তা সম্প্রতি প্রমাণ হয়ে গেল। একবাক্যে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, শুভেন্দু অধিকারী যা বলেন, একদম ঠিক কথা বলেন। তাই এবার শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে, সেটা যখন কেউ খুঁজে পাচ্ছে না, তখন শুভেন্দু অধিকারী যে তথ্য দিলেন, তার পেছনে সত্যতা থাকলেও থাকতে পারে। অবিলম্বে সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা বাংলার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া এই তৃণমূল নেতাকে ঘাড় ধরে জেলের ভেতরে ঢোকানো উচিত। যাতে ভবিষ্যতে ভাইপোর মডেলে তৈরি হওয়া আর কোনো নেতা ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে দেশের নিরাপত্তা ভেঙে না দেন, সেইটা সুনিশ্চিত করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!