এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহজাহানের এত দাপট, পেছনে রয়েছে বড় কাহিনী! মমতার ঘুম ওড়ালেন শুভেন্দু!

শাহজাহানের এত দাপট, পেছনে রয়েছে বড় কাহিনী! মমতার ঘুম ওড়ালেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যে যেভাবে তৃণমূলের একের পর এক চুরি ধরা পড়ে যাচ্ছে যেভাবে নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন তাতে মুখ দেখানোর মতো জায়গা নেই শাসকদলের তারা খুব ভালোমতো করে জানে যে তারা ভোটে জিততে পারবে না তাই এখন দুষ্কৃতিদের দিয়ে অবৈধভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভোট লুট করার চেষ্টা চলছে আর বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক ব্যক্তিদের সামনে এনে সেই কাজ করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। না, এই অভিযোগ আমরা করছি না। এই অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের সম্পদ বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানের, তারপর তার প্রভাব প্রতিপত্তি এবং তার এত ক্ষমতা নিয়ে নানা মহলে মলে প্রশ্ন উঠছে। এদিন সেই বিষয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যে কথা বললেন, তারপর মনে করা হচ্ছে যে, ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে এমন কিছু প্রোডাক্ট এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেছেন, যাদের দিয়ে তিনি এই রাজ্যকে এবং এই রাজ্যের গণতন্ত্রকে কার্যত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন শেখ শাহজাহানকে নিয়ে এবং তার প্রবল সম্পত্তি নিয়ে শুভেন্দু বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের কীর্তি ফাস করে দেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “শাহজাহানের মত নেতাকে ওই এলাকাটা লিজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওটা হচ্ছে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল, আর ওখানকার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে এই শেখ শাজাহান। ওখানে এতদিন ধরে ভোট লুট করা হয়েছে। এবারেও সেই কাজ করা হচ্ছে। এসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেছেন। এর কাজ হচ্ছে ভোট লুট করা, আর কলকাতায় টাকা পাঠানো।” অনেকে বলছেন, এই ট্র্যাডিশন তৈরি করতে গিয়েই তো রাজ্যের সর্বনাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় ভোট লুট করার মত ক্ষমতা থাকা ব্যক্তিদের নেতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। সন্দেশখালিতেও হিংসা, বিরোধীদের ভয় দেখানো, সব কিছুতেই নাম উঠে আসছিল এই শেখ শাহজাহানের। আর তিনি কতটা মারাত্মক হতে পারেন, তা সম্প্রতি প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। তাই তার এত সম্পত্তির উৎস যে তৃণমূলের ওপরতলার নেতাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মত কারনেই, তা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতী স্থাপন করে ভোট লুট করাই একমাত্র কাজ তৃণমূলের। বাংলাকে কাঁদিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা আজকে বাংলার মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তারাই তৃণমূল দলের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছেন। তাই এদের থেকে মুক্তি চাইছেন সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে ভোটের মাধ্যমে এদেরকে বিদায় দিতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের আশ্রয় প্রশ্রয় বেড়ে ওঠা শেখ শাহজাহানের মতো নেতারা ভেবেছিলেন, তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। কিন্তু আইন ভাঙ্গার ফল যে কি মারাত্মক হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সেই শাহজাহান। এবার তাকে সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সামনে আসার মত ক্ষমতা তার হচ্ছে না। ফলে এতদিন ধরে যারা মানুষকে ভয় দেখিয়েছিলেন, যারা মানুষকে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছিলেন, তাদের দুঃসময়ের দিন এবার শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে এই দুষ্কৃতীদের দাপট বন্ধ করতে আরও বেশি সজাগ হওয়া উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!