এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শেখ শাহজাহান আরও বিপাকে, এবার পদক্ষেপ সি ভি আনন্দ বোসের! সোচ্চার বিরোধীরা!

শেখ শাহজাহান আরও বিপাকে, এবার পদক্ষেপ সি ভি আনন্দ বোসের! সোচ্চার বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন অনেকবার নাম শোনা গিয়েছে শেখ শাহজাহানের। কিন্তু তার দাপদ কতটা, সেই সম্পর্কে হয়ত কিছুটা অন্ধকারেই ছিলেন এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ‌। কিন্তু সম্প্রতি তিনি যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, যে অপরাধ তিনি করেছেন, তারপর অবিলম্বে তার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করতে শুরু করেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তৃণমূল কতটা ভয়ংকর দল হতে পারে, কিভাবে তাদের প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা এই সমস্ত নেতারা দেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছেন, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু তার নাগাল কেউ পাচ্ছে না। আর বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হচ্ছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এতদিন তিনি মুখ বন্ধ করেছিলেন। তার যেন কিছুই চোখে পড়ছিল না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার মুখ না খোলা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু শেখ শাহজাহান ইস্যুতে তিনি এবার যে নির্দেশ দিলেন, তাতে আরও বিপাকে এই রাজ্যের শাসক দল।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন যে, অবিলম্বে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এই তৃণমূল নেতার, তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজ্যজুড়ে। শেখ শাহজাহান এখন সকলের নজরের বাইরে রয়েছেন। তাকে খোঁজার জন্য দেশের প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে লুকআউট নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ না হোক কাল, তাকে ধরা পড়তেই হবে। কিন্তু অবিলম্বে যাতে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, তার জন্যই রাজ্যপালের এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে যে রাজ্যের প্রশাসন তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে, সেখানে সেই প্রশাসন কতটা মেরুদন্ড রেখে রাজ্যপালের এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে, সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, সময় নষ্ট না করে এই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে ভেতরে ঢোকানো উচিত। এরা বাইরে থাকার কারণেই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই বাংলা আজ সন্ত্রাসবাদীদের আতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে গেলেও, তারা নিরাপদ নয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারের আমলে কি পরিমান দুষ্কৃতীদের আমদানি হয়েছে পশ্চিমবাংলায়! এদেরকে ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভাবে বিদায় না জানানো পর্যন্ত মানুষের পরিত্রাণ নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই শেখ শাহজাহানের মত কিছু ব্যক্তিদের দিয়েই গোটা রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরা ভেবেছিলেন যে, এরা যা খুশি তাই করতে পারেন। কিন্তু দেশের নিয়ম কানুন বলে কিছু রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে, তারপর শেখ শাহজাহানের ভয়ংকর রূপ সকলের সামনে চলে এসেছে। তাই তাকে এখন ছেড়ে দেওয়া মানে চরম মুর্খামি করা। ফলে সব মহল থেকেই দাবি উঠছে তার গ্রেপ্তারি নিয়ে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা সাধুবাদ জানানোর মত। কিন্তু শুধু নির্দেশ দিলেই হবে না। যাদেরকে তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন, তারা যাতে সেই নির্দেশ কার্যকর করে, তার জন্যও সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে। তা নাহলে আগামী দিনে আরও ভয়ংকর কিছু দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এই রাজ্যকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!