এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহজাহান নাকি বাঘ, তাহলে ছাড়পোকার মত লুকোচুরি কেন? চরম তুলোধোনা বিজেপির!

শাহজাহান নাকি বাঘ, তাহলে ছাড়পোকার মত লুকোচুরি কেন? চরম তুলোধোনা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন শেখ শাহজাহান দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর মুখে অনেকবার তার কথা শোনা গিয়েছে। যার ফলে বিরোধীদের কাছেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, এই শেখ শাহজাহানদের মত নেতাদের দিয়েই এই রাজ্য সরকার সবকিছু তাদের বাগে আনতে চাইছে। সম্প্রতি সেই শেখ শাহজাহান কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা এবং সেই ঘটনায় এই তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তিনি কার্যত নিখোঁজ। তার অনুগামীরা অবশ্য বড় বড় গলায় দাবি করছে, তাদের নেতা নাকি বাঘের মত রয়েছে। তিনি নাকি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! খুব ভালো কথা। কিন্তু এত বড় বাঘ তিনি যখন, তাহলে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? কেন তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করতে হচ্ছে! কেন সামনে এসে আত্মসমর্পণ করা বা কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে কথা বলার মত ক্ষমতা নেই কাগুজে বাঘ শেখ শাহজাহানের? এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে যে কথা বললেন, তাতে আরও চাপে পড়ে গেলেন সেই শাহজাহানের অনুগামীরা এবং তার দল তৃনমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, শেখ শাহাজাহান খুব ভালো মতো বুঝে গিয়েছেন যে, তার পালানোর মত আর জায়গা নেই। তাই তিনি ঘাপটি মেরে কোথাও একটা লুকিয়ে রেখেছেন। আর অনুগামীদের সামনে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন কথা বলানোর চেষ্টা করছেন। তবে এসব কথায় চিড়ে ভিজবে না। এদিন সেই অনুগামীরা শেখ শাহজাহানকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করতেই তাদের ধুয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বাঘ যখন, বাঘ তো তাহলে কোথাও পালায় না। সে তো সামনে থেকে লড়াই করে। তাহলে পালিয়ে যাচ্ছেন কেন? সামনে আসুন। আমার মনে হচ্ছে, এ তো ছারপোকা। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে আজ না হোক কাল, ধরা পড়তেই হবে। এরা কেউ ছাড়া পাবে না।” অনেকে বলছেন, ভাইপোর আশীর্বাদেই নেতা হয়ে উঠেছিলেন এই শেখ শাহজাহান। তবে ভাইপো যেরকম অনেক বড় বড় ডায়লগ দিতে ভালোবাসেন, সেই রকমই সামনে আসার মুরোদ নেই, তাই গুরুর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে কখনও অডিও বার্তা আবার কখনও বা অনুগামীদের দিয়ে বড় বড় কথা বলানোর চেষ্টা করছেন শাহজাহান। মুরোদ থাকলে তো সামনে আসবে। তাই ঘাপটি মেরে থেকে ছারপোকার মতই মিনমিনে আওয়াজ দিতে দেখা যাচ্ছে এই তৃণমূল নেতাকে বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, অনুগামীদের দিয়ে এত বড় বড় কথা বলিয়ে কোনো লাভ নেই। যে অপরাধ তিনি করেছেন এবং এতদিন যে অত্যাচার তিনি মানুষের সঙ্গে করেছেন, তার ফল তাকে পেতেই হবে। আইন হাতে তুলে নিয়ে কেউ রেহাই পাবে না। আজ না হোক কাল, জেলের ঘানি টানতে হবে অপরাধ কারীদের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মাঝে বাংলাদেশ পালানোর চেষ্টা করেছিলেন এই শেখ শাহাজাহান। কিন্তু লুকআউট নোটিশ জারি হয়ে যাওয়ার কারণে তার সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে এই রাজ্যেই তিনি কোথাও একটা লুকিয়ে রয়েছেন, এটা স্পষ্ট।‌ যে রাজ্যে পুলিশ শাসকের দলদাস, সেখানে এই শাহজাহানের মত মডেল, যাদের হাত ধরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে তৃণমূল একের পর এক পঞ্চায়েত দখল করেছে, তাদেরকে সেই পুলিশ রক্ষা করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। হয়ত সেই পুলিশের ইন্ধনেই কোথাও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থেকে নিজের অনুগামীদের দিয়ে এত বড় বড় কথা বলাচ্ছেন শাহজাহান। কিন্তু দুষ্টের দমন অনিবার্য। তাই বিপদের সেদিন ঘনিয়ে এসেছে। কাগুজে বাঘ শেখ শাহজাহানের দুঃসময় ক্রমশ আসন্ন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!