এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অধীরের শুধুই ফুটানি! দিল্লিতে মমতার বিরুদ্ধে বলতে পারবেন তো? ফাঁদে ফেললেন শুভেন্দু!

অধীরের শুধুই ফুটানি! দিল্লিতে মমতার বিরুদ্ধে বলতে পারবেন তো? ফাঁদে ফেললেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলতে দেখা যায় বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের। কিন্তু দিল্লিতে গিয়ে তারা আবার সেই তৃণমূলের সঙ্গেই এক টেবিলে আলোচনা করেন বিজেপির বিরুদ্ধে। ফলে সেই বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা অন্তত মানুষ শুনতে চায় না। সম্প্রতি এই পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পর তৃণমূলের এক নেতার ইন্ধনে হামলা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর। আর সেই বিষয় নিয়েই বাংলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু তিনি নিজের সংসদীয় এলাকার বাইরে বেরিয়ে কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না বা দিল্লিতে যখন তার দলের হাইকম্যান্ড সেই তৃণমূলের সঙ্গে একসাথে জোট করার কথা বলে, তখন কেন অধীরবাবু মুখে কুলুপ আটেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। তাই অধীর চৌধুরীর সেই বক্তব্যকে নিয়েই এবার বড় প্রশ্ন তুলে ধরে তার ভান্ডা ফোর করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে নতুন বিড়ম্বনায় পড়ে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি নিজেকে অনেক বড় তৃণমূল বিরোধী হিসেবে এই বাংলার মাটিতে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু তলায় তলায় যে এই অধীরবাবুরাই তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে নিয়েছেন এবং পশ্চিমবাংলায় বিজেপি যে লড়াই লড়ছে, তাকে আটকাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ। সেদিক থেকে আজ শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এদিন অধীর চৌধুরীর একটি বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি নিজের সংসদীয় এলাকার বাইরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না। নিজের এলাকায় ভোট পাওয়ার জন্য উনি এই কথা বলছেন। আর দিল্লিতে মহুয়া মৈত্রকে কেন্দ্র করে যে ইস্যু হয়েছে, সেখানে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উনি নর্দমার সঙ্গে তুলনা করছেন। ফলে অধীরবাবুর এই সমস্ত কথা শুনে কোনো লাভ নেই।” সত্যিই তো তাই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সত্যিই বাম এবং কংগ্রেসের এই দ্বিচারিতার রাজনীতি সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারছে না। তারা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে দিল্লিতে এক টেবিলে বসে আলোচনা করছে। আবার বাংলায় সেই তৃণমূলের ষষ্ঠী পূজা করছে, এটা কি ধরনের রাজনীতি?

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, লজ্জা থাকা উচিত অধীর চৌধুরীর। তাদের অনেক কর্মী এই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা খুন হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও বাংলায় শুধুমাত্র নিজের ভোটব্যাংক ধরে রাখতে নিজের সংসদীয় এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে, তাকে বাধা দেওয়ার জন্য সর্বভারতীয় রাজনীতিতে পিসি ভাইপোর সঙ্গে এক টেবিলে বসছেন। এদের এই দেউলিয়াপনা রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ধরে ফেলেছে। আগামী লোকসভা ভোটে এই সমস্ত বিরোধী নেতাদের জামানত জব্দ হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় সবথেকে বড় তৃণমূল বিরোধী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার যতই মরিয়া চেষ্টা করুন না কেন অধীর চৌধুরী, তার রাজনৈতিক চরিত্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ধরে ফেলেছেন। বাংলায় এত দুর্নীতি হচ্ছে, আর সেই দুর্নীতির প্রধান হোতাদের সঙ্গে তার দল দিল্লিতে বসে বৈঠক করছে বিজেপিকে আটকানোর জন্য। ফলে বাংলায় তৃণমূল বিরোধীতার মুখোশ পরে থাকা অধীর চৌধুরীর ওপর এখানকার নীচুতলার কংগ্রেস কর্মীরাও বিরক্ত। যারা প্রকৃত লড়াইটা করছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, তারা আর যাই হোক তৃণমূল এবং তৃণমূলকে যারা সাথ দিচ্ছে, তাদেরকে কোনোমতেই সহ্য করতে পারছেন না। ফলে এত বড় বড় বাতেলা না দিয়ে, ফুটানি বন্ধ করে যদি সত্যিই দুর্নীতি বন্ধ করতে চান, তাহলে সেটিংয়ের রাজনীতি না করে দিল্লিতে এক, বাংলায় আর এক আচরন বন্ধ করুন অধীরবাবুরা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!