এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিলীপ ঘোষের সফরের আগেই বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের, বাড়ছে অস্বস্তি! শোরগোল উত্তরবঙ্গে!

দিলীপ ঘোষের সফরের আগেই বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের, বাড়ছে অস্বস্তি! শোরগোল উত্তরবঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন বিভিন্ন জেলা সফরে যেতে শুরু করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংগঠনকে মজবুত করার পাশাপাশি তৃণমূল থেকে ব্যাপক নেতাকর্মীদের ভাঙিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করানোর চেষ্টা করছেন তিনি। রবিবার বিকেলে মালদহ এসে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তিনি মালদহে পা রাখার আগেই যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির যুব মোর্চা এবং ছাত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজনকে শাসক দলে যোগদান করানো হয়।

স্বাভাবিকভাবেই দিলীপবাবু আসার কিছু সময় আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির ঘর ভাঙিয়ে নিজেদের দিকে ব্যাপক নেতাকর্মীদের যোগদান নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরকে চাপে রাখল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, এদিন ইংলিশবাজারের একটি মুক্তমঞ্চে হরিশ্চন্দ্রপুর, গাজোল সহ বেশকিছু ব্লকের যুব বিজেপি নেতৃত্বরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান এদিন তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙ্গনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, “আমরা বিজেপি ভেঙে ওই দলের রাজ্য সভাপতিকে মালদহে অভ্যর্থনা জানালাম। আগামীতে তিনি যতবার মালদহে আসবেন, ততবার তার দলের লোকেরা তৃণমূলে আসবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জেলা সফরে এসে এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ কোনো মন্তব্য না করলেও, গোটা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল। তিনি বলেন, “তৃণমূল নিজেও জানে না এগুলি আসে প্রতারণা। ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। পারলে তৃণমূল আমাদের মত আদর্শের ভিত্তিতে দলকে শক্তিশালী করুক।” তবে দিলীপবাবু এই দলবদলের ব্যাপারে কিছু না বললেও, এদিন বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “হেমতাবাদের বিধায়ক আত্মহত্যা করেননি। তাকে খুন করা হয়েছে।

বিধায়কের পরেও 2 বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। কারা খুনি সবাই জানেন। কিন্তু রাজ্য সরকার ও পুলিশ জানে না।” তবে যেভাবে সাম্প্রতিককালে বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তাতে কি বিজেপি বিধানসভার আগে চাপে পড়ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের দলে আসার আগে বিজেপির সংস্কৃতিটা ভালোভাবে বুঝে তবে আসুন। আমাদের দলে আঞ্চলিক নেতা থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি সকলেই কার্যকর্তা। নিয়ম মেনে দল করলে মর্যাদা পাবেন। দল ছাড়তে হবে না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে রাজনীতিতে দলবদল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেকেই নিজের নিজের মতো করে অপর গোষ্ঠীর দল ভাঙিয়ে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছে। আর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির মালদহ সফরের আগে জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি যেভাবে বিজেপির ঘর ভাঙলেন, তাতে গেরুয়া শিবির অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!