এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বালুরঘাটে মমতার প্রশ্নে হতভম্ব জনতা, জোর চর্চা!

বালুরঘাটে মমতার প্রশ্নে হতভম্ব জনতা, জোর চর্চা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে তার সরকার প্রচুর উন্নয়ন করেছে, নির্বাচনী সভা থেকে এমনটাই দাবি করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মানুষের সমর্থন আদায় করতে চাইছেন তিনি। জনসভা থেকে মানুষ কি বলছেন, সেকথাও প্রশ্ন আকারে ছুড়ে দিয়ে মানুষের উত্তর নেওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রতিটি সভাতে জনতার মন পেতে তৃণমূল নেত্রী সক্ষম হলেও, বালুরঘাটে যেন ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

যেখানে বালুরঘাটে আর জল জমে না বলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। সাথে সাথেই মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “কি আর জল জমে?” কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রশ্নে তৈরি হয় বিড়ম্বনা। কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে দেখা যায় উপস্থিত জনতা জনার্দনকে। স্বাভাবিক ভাবেই এর জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে গোটা বালুরঘাট শহর জুড়ে।

সূত্রের খবর, আজ বালুরঘাটে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে একটি জনসভা করতে উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই মঞ্চে থেকে মানুষের উদ্দেশ্যে নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মানুষের জনমত নেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। এক্ষেত্রে মানুষের ভালো সাড়া পেলেও বালুরঘাটের জল জমার কথা তার গলা দিয়ে উঠে আসার সাথে সাথেই কার্যত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, “কি বালুরঘাটে আর জল জমা হয়?” আর এর সাথে সাথেই কার্যত নীরব হয়ে যায় দর্শকের আসন। কেউ কোনো উত্তর দিচ্ছেন না দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে বাধ্য হন, “আরে বলুন না, জল জমা হয় কিনা! নাহলে আমি বুঝবো কি করে!” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার সারা না পেয়ে কার্যত চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিলেন. তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বালুরঘাটের জল জমার যে করুণ পরিস্থিতি, তা এখনও পর্যন্ত রয়েছে।

এক্ষেত্রে মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বালুরঘাটে জল না জমার বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না, তা দর্শকের নীরব হয়ে থাকাতেই পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূল নেত্রীর অস্বস্তি যে দ্বিগুণভাবে বাড়তে শুরু করল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

একাংশ বলছেন, 2017 সালে বালুরঘাট শহরের বন্যার করুন স্মৃতি এখনও পর্যন্ত মানুষ ভুলতে পারেননি। সামান্য বৃষ্টিতেই বালুরঘাটে অলিতে-গলিতে জল জমতে শুরু করে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বালুরঘাট নানা দিক থেকে উন্নত হলেও ড্রেনেজ সিস্টেম এবং নিকাশি ব্যবস্থার অবনতি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সরকারের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে এই এলাকায় আর জল জমা হয় না বলে নির্বাচনী সভা থেকে দাবি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই মানুষের নীরবতা তৃণমূল সরকারের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যার ফলে উন্নয়নের মোড়কে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করলেও, জল জমা হওয়ার করুন কষ্ট যে বালুরঘাট বাসীকে এখনও পর্যন্ত পোহাতে হচ্ছে এবং এবারের নির্বাচনে যে তা বড় ইস্যু হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বালুরঘাটের সভা থেকে অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তা বুঝতে পারলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!