এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহজাহানের কুকীর্তির পর্দাফাঁস, নিজের চোখেই দেখেছেন শুভেন্দু ! শোরগোল রাজ্যে !

শাহজাহানের কুকীর্তির পর্দাফাঁস, নিজের চোখেই দেখেছেন শুভেন্দু ! শোরগোল রাজ্যে !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বামেদের আমলে যারা ছিল চোর ডাকাতের সর্দার, তাদেরকেই তৃণমূল আশ্রয় দিয়েছে এবং এই সরকারের আমলে তারাই হয়ে গিয়েছে রাজা বাদশা।‌দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে বাংলা। যার ফলে সন্দেশখালীর মত জায়গায় কোনো একজন নেতার দাপটে আক্রান্ত হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। আর সেই ঘটনা নিয়েই বর্তমানে আবর্তিত হয়ে রয়েছে বাংলার রাজনীতি। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, অবিলম্বে এই গোটা ঘটনার মুল পান্ডা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু তিনি এত বড় ডাকু সর্দার হয়েও, পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সামনে আসার মত ক্ষমতা তার হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে কিভাবে এই শেখ শাহজাহান জড়িয়ে পড়েছিলেন, কিভাবে তিনি নিজেকে সর্বেসর্বা করে তুলেছিলেন এই সন্দেশখালীর মত এলাকায়, এবার তার তথ্য দিয়ে সকলকে চমকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আসলে শুভেন্দু অধিকারী এই তৃণমূল সরকারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি এই সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তাই তাদের অনেক গোপন খবর তার কাছে রয়েছে। ফলে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, তখন তাকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে কার্যত চমকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সকলকে চমকে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির মত এলাকায় বাধ জোড়া লাগাত এবং বাঁধ ভাঙত। এরা কার্যত রাজা-বাদশা হয়ে গিয়েছিল। আমি দীর্ঘদিন সেচমন্ত্রী ছিলাম, আমি বিষয়টা জানি। বামেদের আমলেও এদের বাড়বাড়ন্ত ছিল। তৃণমূল তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। এরাই এখন সর্বেসর্বা হয়ে গিয়েছে।” একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে যে সমস্ত কথা বলছেন, তা পরবর্তীতে সত্য হিসেবে সামনে আসছে। আসলে তিনি এই তৃণমূল সরকারের সব গোপন খবর জানেন‌। তিনি শুধু রাজ্যের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তাই নয়, তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতা ছিলেন। তাই বিরোধী হিসেবে নেতা হিসেবে সমস্ত গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে এই শাসক দলকে প্রবল বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শেখ শাহাজাহানকে পরিমানে এই সন্দেশখালি সহ সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালাত, তার নেতৃত্বে কি কি অবৈধ কাজ হত, এবার তার তথ্য ফাঁস করে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূল এবং তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব কাদের উপর আশীর্বাদের হাত রেখেছে!

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এটাই তো তৃণমূল আমলের ট্র্যাডিশন। সমস্ত দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে এই সরকারের আমলে। রাজ্যে গণতন্ত্র ধুলুণ্ঠিত হয়েছে দুষ্কৃতীদের সৌজন্যে। তাই অবিলম্বে এই সমস্ত অপরাধ কারীদের গ্রেফতার করে জেলের ভেতরে ঢোকানো উচিত।পর্যবেক্ষকদের মতে, শেখ শাহজাহানের ক্ষমতা কতটা, তা বোঝাই যাচ্ছে। তার মাথার ওপর বড় কোনো প্রভাবশালীর হাত না থাকলে তিনি যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা করার সাহস পেতেন না বা তার প্রশ্রয়ে এই কাজ হত না, সেটা স্পষ্ট। ফলে এই শেখ শাহাজাহান যে প্রভাবশালী, এটা বলাই যায়। আর যারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন, সেই দলের হয়েই সমস্ত কাজ করছেন এই শেখ শাহজাহানের মত ব্যাক্তিরা। স্বভাবতই গোড়াতেই গলদ রয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল সরকার দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে। আর তার ফলেই সর্বনাশের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা। যে কারণে সন্দেশখালির মত বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!