এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুয়ারে ইডি, ফাঁসতে চলেছেন এই মন্ত্রী? বিজেপি যোগের ঘোষণা করেই বোমা ফাটালেন অর্জুন!

দুয়ারে ইডি, ফাঁসতে চলেছেন এই মন্ত্রী? বিজেপি যোগের ঘোষণা করেই বোমা ফাটালেন অর্জুন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে যত গন্ডগোল। আর সেই কারণেই দল কথা দিয়েও কথা রাখেনি বলে বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্জুন সিংহ। তার চ্যালেঞ্জ যে, পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে এবার তার সরাসরি লড়াই হবে। আগামীকাল দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করার কথা অর্জুনবাবুর। আর এই পরিস্থিতিতে সেই অর্জুন সিংহ নাম না করে কি পার্থ ভৌমিকের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন? তৃণমূলের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই বলা হয়, যারা দল বদল করে বিজেপিতে যাচ্ছেন, তারা কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত থেকে মুক্তি পেতেই এই কাজ করছেন। তবে অর্জুন সিংহ আজ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানানোর পরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে নৈহাটিতে যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে এক প্রকার ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তবে কার উদ্দেশ্যে তার এই বার্তা? তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একের পর এক ঘটনায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা যেভাবে জেলে গিয়েছেন, ভবিষ্যতে নৈহাটিতেও এরকম কোনো দৃশ্য দেখা যেতে পারে? অর্জুন সিংহের মন্তব্যের পর এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “নৈহাটির দুয়ারেও যেকোনো সময় ইডি আসতে পারে।” আর তার এই মন্তব্য নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন এবং জল্পনা। অনেকে বলছেন, হয়ত অর্জুনবাবু কারওর নাম করেননি। কিন্তু নৈহাটিতে কে প্রধান মাথা, কে নৈহাটি এলাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এটা নতুন করে বলতে হবে না। তাহলে কি ঘুরিয়ে নৈহাটির বিধায়কের দিকেই এই ইঙ্গিত ছুঁড়ে দিলেন অর্জুন সিংহ? অনেকে আবার বলছেন, বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা করার পাশাপাশি শেখ শাহজাহানকে নৈহাটিতে জমি কিনে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন স্থানীয় বিধায়ক বলে অভিযোগ করেছেন অর্জুনবাবু। পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে তিনি একের পর এক যে সমস্ত মন্তব্য করছেন, তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। ফলে সেদিক থেকে কি নৈহাটির দুয়ারে ইডি পৌঁছে যাওয়ার মন্তব্যে দুইয়ে দুইয়ে চার করতে শুরু করেছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কার দুয়ারে ইডি পৌঁছে যাবে, সেটা সময় বলবে। কিন্তু তৃণমূল যে আপাদ মস্তক দুর্নীতি গ্রস্ত একটা দল, এটা সকলের কাছেই প্রমাণিত। তা না হলে যে দলের একসময় নেতারা নেতৃত্ব দিতেন, তারা আজকে জেলের ভেতরে থাকতেন না। অনেক বড় বড় সততার বুলি আওড়ানো নেতাদের নাম জড়াতো না নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন কেলেঙ্কারিতে। ফলে কে কোথায় কোন দুর্নীতি করে রেখেছেন, তার সঠিক তদন্ত হলেই পর্দাফাঁস হয়ে যাবে। তাই তৃণমূলের নেতা দেখলেই এবং একটু ভালো কথাবার্তা বললেই তারা যে সৎ, এটা ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই। অর্জুন সিংহের মন্তব্য কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতে নৈহাটিতে ঘটে যেতে পারে বড়সড় ঘটনা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে পড়ে যেতে পারেন অনেক হেভিওয়েট। অর্জুনবাবুর মন্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!