এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ছবি কোথায় গেল? কবে তুলি ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী! জ্বালা বাড়ালেন শুভেন্দু!

মমতার ছবি কোথায় গেল? কবে তুলি ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী! জ্বালা বাড়ালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় মাঝেমধ্যেই তুলি ধরতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তুলি ধরার হিড়িক এমনই যে তার ছবি নাকি কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হতো। ওরে বাবা, এ চিত্রশিল্পী, নাকি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি? তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সহকর্মী, যিনি বর্তমানে রাজনৈতিক পাদপ্রদীপে অবশ্য নেই, তিনি হলেন মুকুল রায়। তবে মুকুলবাবুর কথা আবার মনে পড়ে গেল, তার কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ছবি আঁকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

বিভিন্ন সভায় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তিনি নাকি সব কাজ পারেন। রান্না করতে পারেন, বাসন মাজতে পারেন, ঘর মুছতে পারেন, তার প্রচুর বই আছে, তিনি বই লেখেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সেই সভায় ঝগড়া করতে পারেন বললেও, তিনি যে ছবি আঁকেন, সেটা কোথাও যেন চেপে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মানুষের মনেও একটা প্রশ্ন যে, আবার কবে থেকে তুলি ধরবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? এপাং ওপাং, ঝপাং কবিতার মত কবে তার ওই শিউলি ফুলের ডানা, সবুজ গাছ পাতার ছবি বাংলার মানুষ দেখতে পাবে? শুভেন্দু অধিকারী যে প্রশ্ন এদিন তুলেছেন, তা গোটা রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মনের মধ্যেও চেপে বসা একটা প্রশ্ন। কিন্তু কি বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে সাংবাদিকরা একটি প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আর ছবি আঁকেন না কেন? তার ছবি নাকি এক কোটি, দেড় কোটি টাকায় বিক্রি হয়। তাহলে এখন ছবি আঁকা বাদ দিয়েছেন কেন? ছবি কেউ কেনে না কেন?” অনেকে তো আবার কটাক্ষ করে এটাও বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছবি আঁকতেন, তখন সুদীপ্ত সেন ছিলেন। তিনি সেই ছবি কোটি কোটি টাকায় কিনতেন। কিন্তু এখন তো আর সুদীপ্ত সেন নেই। তিনি জেলে যাওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলি ধরার অভ্যাস চলে গিয়েছে। কারণ কাকের ঠ্যাং, বকের ঠ্যাং ওই ছবি বাংলার মানুষের কোনো কাজে লাগবে না। তারা পেটে ভাত চায়, হাতে কাপ চায়। তাই এই ধরনের ছবিতে কারওর মন ভরবে না বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী এখন লবডঙ্কা কবিতা তৈরিতে বেশি মনোযোগী বলেই কটাক্ষ একাংশের।

বিজেপির দাবি, এই ধরনের প্রশ্ন তখনই ওঠে, যখন সন্দেহ তৈরি হয়। শুধু শুভেন্দু অধিকারী তো নয়। গোটা রাজ্যের মানুষের মনেও আজকে প্রশ্ন যে, কেন মুখ্যমন্ত্রী ছবি আঁকা বাদ দিয়েছেন? তিনি নাকি বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী! তা না হলে তো নামিদামি অনেক চিত্রশিল্পীর ছবিও কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয় না! যা একসময় মুখ্যমন্ত্রীর আকানো ছবির ক্ষেত্রে হত। তাই তিনি আবার তুলি ধরুন। তাহলেই বোঝা যাবে, তিনি কত বড় মাপের চিত্রশিল্পী! আর কত কোটি টাকায় তার ছবি বিক্রি হয়। আসলে চালাকিটা রাজ্যের মানুষ ধরে ফেলেছে। চুরিটা ধরে ফেলেছেন। সেই কারণেই আর মুখ দেখানোর মতো জায়গা নেই বুঝেই এই ধরনের নাটক বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বগুণ সম্পন্না। যেমন তিনি হিন্দি বলেন, তেমন তিনি সংস্কৃত বলেন। যেমন তার মন্ত্র উচ্চারণের মাধুর্যতা, ঠিক তেমনই তার সংগীতের কোকিল কন্ঠ। না, এই সমস্ত গুণের কথা অবশ্য সবাই জানে না। যারা তৃণমূল প্রেমী মানুষ, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে ভেতর থেকে ভালোবাসেন, তারা বলেন যে, তাদের মুখ্যমন্ত্রী সবদিক থেকে রন্ধন থেকে বন্ধন সবকিছুতেই পারদর্শী। তবে বিরোধীরা বলেন যে, ছবি যাইহোক, গান যেভাবেই করুন, শুধু চুরিটা বাদ দিলেই হত। কিন্তু তাতেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পারদর্শী হয়ে উঠেছেন, সেটাই এই রাজ্যের সব থেকে বড় হতাশার কারণ। তবে যেরকমই হোক, বই তো লিখছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ছবি আঁকাটা কেন বাদ দিলেন? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। তাই আবার ছাই চাপা আগুনে পড়ে থাকা সেই প্রশ্নটিকে তুলে ধরে যেন ভস্মে ঘি ঢাললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!