এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একের পর এক খুন, পুলিশের ক্ষমতা ধ্বংস করেছেন মমতা! সোচ্চার শুভেন্দু!

একের পর এক খুন, পুলিশের ক্ষমতা ধ্বংস করেছেন মমতা! সোচ্চার শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে একের পর এক খুন, শুট আউটের ঘটনা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের নিরাপত্তা কোথায়, তা এখন প্রশ্নের মুখে। কিন্তু এসব দিকে নজর দেওয়ার মত সময় তো রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী এবং তার প্রশাসনের নেই। তিনি তো পুলিশকে দিয়ে তার বাড়ির প্রসাদ তৈরির প্যাকেটিং করাতে ব্যস্ত। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য অবশ্য তেমনটাই। তার কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে যে, কালীপুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুলিশকে দিয়ে কি কাজ করিয়েছেন! যা শুনে চমকে উঠেছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ, যারা ভোট দিয়ে এই তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে।

তবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে শুট আউট করে খুন করার পর জগদ্দলে আবার একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। যে খুন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে পরিবর্তনের কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন, আজকে তিনি তো পুলিশ মন্ত্রী। তার আমলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? কেন সেসব দিকে নজর না দিয়ে বানিজ্য সম্মেলনে মশগুল হয়ে পড়েছে এই সরকার? বিরোধীদের তরফ থেকে যখন এত প্রশ্ন বাণে জর্জরিত হচ্ছে রাজ্য, ঠিক তখনই গোটা বিষয়ে মুখ খুলে রাজ্যকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন একের পর এক খুনের ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই রাজ্য খুব ভয়ংকর জায়গায় চলে গিয়েছে। পরপর শুট আউট, আজকে জগদ্দলে খুনের মত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তার নিজস্ব কাজ করা ভুলে গিয়েছে। সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশের কাজ যদি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্যাকেট তৈরির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আর কি করা যাবে! রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলতে আর কিছু নেই।”

একাংশ বলছেন, সত্যিই তো, এই লজ্জা কোথায় রাখবে বাঙালি? শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে পুলিশ কালীপুজোর প্রসাদ বিতরণের দায়িত্বে ছিল। সেই অভিযোগ সত্যি কিনা মিথ্যা, তা তো সময় বলবে। কিন্তু পুলিশ যে তার নিজস্ব কাজ করা ভুলে গিয়েছে, যে কথা বিরোধী দলনেতা বললেন, তা তো বাস্তব। আজকে পুলিশের কাজ শুধুমাত্র বিরোধীদের আটকানো। তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া এবং বিরোধী নেতাদের জেলে ঢোকানো। আর এটা করতে গিয়ে চোর ধরা, ডাকাত ধরা এবং খুন রাহাজানি আটকানো কার্যত ভুলে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।

বিজেপির দাবি, রাজ্যে খুন হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে, এত কিছুর পরেও কেন পুলিশ মন্ত্রীর লজ্জা হয় না? কেন তিনি উৎসবের মধ্যেই ডুবে থাকেন! আসলে এটা অনেকটা রোম যখন জ্বলছিল, তখন নীরো যেমন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের যখন ভয়ঙ্কর অবস্থা, তখন উৎসবের আনন্দে মশগুল এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। আসলে তার হাতে রাজ্যের কন্ট্রোল আর নেই। গোটা রাজ্যে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তাই যা হচ্ছে হোক, এরকম একটা ব্যাপার তৈরি করার চেষ্টা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশি ব্যবস্থাকে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে, পুলিশের যেটা আসল কাজ, সেটা তারা ভুলে গিয়েছে। আসলে প্র্যাকটিসের অভাব থাকলে যা হয়। আজকে চোর ধরার মতো সাহস পুলিশের নেই। বরঞ্চ সেই চোর, ডাকাতরা থানায় গেলে পুলিশ টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ে। কার্যত একটি ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কি সর্বনাশ করছেন এই রাজ্যটার? ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় যাবে, তা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছে বিদ্দ্বজনদের মধ্যেও। কিন্তু তারা মুখ খোলার মত সাহস পাচ্ছেন না। কারণ তাদেরকেও তো আবার মুখ খুললে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হবে। ফলে সকলের মধ্যেই এই পুলিশকে নিয়ে একটা ভয় রয়েছে। তবে বেড়ালের গলায় কাউকে না কাউকে তো ঘন্টাটা বাঁধতে হয়। তাই সেই কাজটাই শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত প্রতি ক্ষণে করে যাচ্ছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবারও সরকারের ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করলেন তিনি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!