এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুভাষচন্দ্র বনাম শ্যামাপ্রসাদ! দুই কৃতী বাঙালিকে ঘিরে লড়াই গড়াল আদালতে! শোরগোল রাজ্যে!

সুভাষচন্দ্র বনাম শ্যামাপ্রসাদ! দুই কৃতী বাঙালিকে ঘিরে লড়াই গড়াল আদালতে! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজা থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এককালে ভারতবর্ষের জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার মনীষীদের মধ্যেও যে লড়াই বাঁধিয়ে দেবেন রাজনীতিবিদরা, তা সত্যিই অকল্পনীয় ব্যাপার। তবে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে অবশ্য সব কিছুই হয়। এখানে অসম্ভবকে দু মিনিটে সম্ভব করে দেওয়া যায়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাণপুরুষ হিসেবে পরিচিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

বিশিষ্ট এই ব্যক্তিকে নিয়ে বিজেপির গর্বের শেষ নেই। নানা সময়ে তার নানা ঘটনার কথা স্মরণ করে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। কিন্তু এবার সেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর থেকে উচ্চ আসনে বসাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার? এমনই এক প্রশ্ন ঘিরে রীতিমত তোলপাড় হয়ে উঠল ভারতবর্ষের রাজনীতি। তবে ভারতবর্ষের রাজনীতি অপেক্ষা এর ফলে বাংলার রাজনীতি যে বেশি তৎপর হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ যে দুইজন বিশিষ্ট মানুষকে নিয়ে আলোচনা চলছে, তার মধ্যে একজন সুভাষচন্দ্র বসু এবং অপরজন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর তারা দুজনেই বঙ্গসন্তান।

জানা যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর থেকে উচ্চ আসনে বসানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। সম্প্রতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করা নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। যেখানে এই মামলাটি দায়ের করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। কেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে সংসারের সুর শোনা যায় তার গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নরেনবাবু বলেন, “কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম বদলে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্ট করা হলে তা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকেই খাটো করা হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 12 জানুয়ারি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সার্ধ শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সেই ট্রাস্টের নাম বদলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এর পরেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারী বলে দাবি করে হাইকোর্টে মামলা করে ফরওয়ার্ড ব্লক।

স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতা আন্দোলনের পথিকৃৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অপেক্ষা তাহলে কি তাদের পথিকৃৎ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বামেদের এই শরিক দল। আর এবার এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণরূপে বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে নয়া সংশয়ের সুর শোনালেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গার নাম বদল করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গার নাম বদল করে বিজেপি গৈরিকীকরণের চেষ্টা করছে। আর এবার কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম বদল করা নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর থেকে কি শীর্ষস্থানে তারা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বসাতে চাইছে!

একথা তুলে ধরে রীতিমত বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়। আর নরেনবাবু একথা বলার পর এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কি বলা হয় এবং হাইকোর্ট এই ব্যাপারে কি নির্দেশ দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!