এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তথ্য গোপনে লাভ হবে না! মমতার ঘাম ছোটাতে ফের ময়দানে ইডি! অশনি সঙ্কেত রাজ্যে!

তথ্য গোপনে লাভ হবে না! মমতার ঘাম ছোটাতে ফের ময়দানে ইডি! অশনি সঙ্কেত রাজ্যে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে হঠাৎ করেই সামনে চলে আসে পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা। আর তারপরেই তার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একের পর এক তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। বর্তমানে বিভিন্ন পৌরসভা ধরে ধরে সেই তদন্তের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছে ইডি। কিন্তু সেখানেও এবার তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠছে পৌরসভা গুলির বিরুদ্ধে। তবে এসব করে কোনো লাভ হবে না। এবার এই পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সূত্রের খবর, পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই 20 টির মত পৌরসভাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য চেয়েছিল ইডি। তবে বিশেষ সূত্র পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সেখানেও যথেষ্ট গাফিলতি চোখে পড়ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পৌরসভাকে এই নথির জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে 6 থেকে 7 টি পৌরসভা সম্পূর্ণ নথি জমা দেয়নি। আর এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে ইডি আধিকারিকদের মনে। তাদের প্রশ্ন, কি এমন রয়েছে, যার কারণে এই কয়েকটি পৌরসভার সেই নথি তাদের কাছে জমা করা হলো না? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে?

বিরোধীদের দাবি, পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কার্যত খানখান হয়ে যাবে রাজ্যের শাসকদলের ভেতরের পরিস্থিতি। বিভিন্ন পৌরসভায় অবৈধ নিয়োগ হয়েছে। আর তৃণমূল নেতাদের পকেটে টাকা ঢুকেছে।ফলে এই তথ্য সামনে আসলে অনেক রাঘব বোয়ালের হাজতবাস হবে, এটা তৃণমূলের মনেও বেশ ভালো করে ঢুকে গিয়েছে। সেই কারণেই যে সমস্ত পৌরসভায় গাফিলতি রয়েছে, তারা তথ্য দিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ সেই গোপন তথ্য সামনে চলে এলে লোকসভা ভোটের আগে প্রবল ফ্যাসাদে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সরকারের বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনিতেই এই সরকারের একের পর এক নেতা, বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রীরা জেলে রয়েছেন। তারপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে উঠে আসছে পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা। কিন্তু সেই অবৈধ নিয়োগে কতটা দুর্নীতি হয়েছে, তার তথ্য যখন জানতে চাইছে, সেখানেও কারচুপি করার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের একাধিক পৌরসভা। যার ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও উপলব্ধি করতে শুরু করেছে, দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই দুর্নীতির পরিমাণটা হয়তো পাহাড় সমান। তাই তার তথ্য ফাঁস হলে পৌরসভাগুলো তো বটেই, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের দলের ভাবমূর্তিকে চকচকে রাখতে তথ্য গোপন করার এই নাটক তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব করছে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!