এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিষেককে আড়াল করতে এ কোন নোংরামো? লজ্জায় পড়লো ইডি! বিগ স্যালুট জাস্টিস সিনহা!

অভিষেককে আড়াল করতে এ কোন নোংরামো? লজ্জায় পড়লো ইডি! বিগ স্যালুট জাস্টিস সিনহা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অনেকদিন ধরেই চলছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর অনেক ভরসা করেছে সকলে। কিন্তু তাদের ঢিলেমি পদক্ষেপ নানা প্রশ্ন তুলেছে এতদিন। আর এবার সেই তদন্তের ক্ষেত্রে একেবারে সঠিক জায়গায় ঘা দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।ইডির সমস্ত চালাকি ধরে ফেললেন তিনি। লিপস্ বাউন্ডস কোম্পানির সিইওর সমস্ত তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও, কেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য নেই, তা নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, এদিন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে লিপস্ অ্যাড বাউন্স কোম্পানির সিইওর তথ্য জমা দেন ইডির আধিকারিকরা। আর তা দেখেই রীতিমতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, একজন সাংসদ তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই? তাহলে কি সেই তথ্য লুকানোর চেষ্টা করছে ইডি? যদিও বা পরবর্তীতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে অকপটে স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় কোনো রাঘববোয়ালকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা? তাহলে এতদিন যে সেটিংয়ের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, তা সত্যি? তবে অমৃতা সিনহা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যে মুখোশ  টেনে খুলে দিলেন, তাতে প্রমাণ হয়ে গেল, কেন্দ্রীয় সংস্থা ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে চলতেই পারে। কিন্তু দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে এবং চূড়ায় পৌঁছতে আদালত তাদের চেষ্টা ছাড়বে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে অমৃতা সিনহা, বিচারব্যবস্থায় তারা কার্যত অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন সকলের কাছে। বর্তমানে অমৃতা সিনহার একের পর এক নির্দেশ বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে তাকে মনুষ্যরুপী দেবীর আসনে বসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেও কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন এতদিন ছিলই। এমনকি বারবার রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকেও অনেক নেতা এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে যে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না, তাও সামনে আসতে শুরু করেছিল।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একাধিকবার বলেছিলেন যে, বিচার ব্যবস্থার জন্যেই এই দুর্নীতির তদন্ত সম্ভব হচ্ছে। আর এবার আদালতে যেভাবে ল্যাজে গোবড়ে হলো এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতে তারা এই লজ্জা কোথায় লুকাবে? সেটাই বড় প্রশ্ন।পর্যবেক্ষকদের মতে, এরপরেও যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ক্যালাসনেস ভাব দূর না হয়, তাহলে তা সত্যিই হতাশা জনক। তবে  বিচারপতি অমৃতা সিনহার মতো ব্যক্তিদের কড়া নির্দেশ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে সহজে পালাতে পারবেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারা তদন্ত করবেন, আর নিয়োগ দুর্নীতির নাম করে লাভবান হয়ে নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়ে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা বিদেশ সফর করে বেড়াবেন, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না।

কিসের এত সেটিং তৃণমূলের সেই সর্বভারতীয় নেতার সঙ্গে? কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শুধু ডাকাডাকির মধ্যেই রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এত ভয় কেন সেই রাঘব বোয়ালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে? এবার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়েও যে ধামাচাপার নাটকটা চলছে, তাও আদালতে প্রমাণ হয়ে গেল। স্পষ্ট হয়ে গেল, ইডি চাইছে না, সেই কারণেই তদন্ত ঠিকমতো এগোচ্ছে না। তবে তদন্তকে কি করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, কি করে মানুষকে সুবিচার পাইয়ে দিতে হয়, তার সেতুবন্ধনটা আজ করে দিলেন জাস্টিস সিনহা। যার কারণে যে সমস্ত বেকার চাকরিপ্রার্থীরা চোখের জল ফেলছেন, তারা দিনের শেষে একটা বিগ স্যালুট জানাচ্ছেন বিচারব্যবস্থাকে। দিনের শেষে সকলেই প্রণাম জানাচ্ছেন জাস্টিস সিনহাকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!