এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর সঙ্গে ন্যায্য আন্দোলনে সকলেই, রাজপথ কাঁপলো বঞ্ছিতদের গর্জনে!

শুভেন্দুর সঙ্গে ন্যায্য আন্দোলনে সকলেই, রাজপথ কাঁপলো বঞ্ছিতদের গর্জনে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে যেখানেই হাত দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে দুর্নীতির গন্ধ। আবার অনেক জায়গাতে অবহেলা, বঞ্চনার অভিযোগ। যেমন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা। আদালতের নির্দেশে অবশেষে আজ সেই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, বিজেপির মত একটি দলের বিরোধী নেতার সঙ্গে কেন এক ছাতার তলায় পাশাপাশি মিছিলে হাঁটলেন এই কংগ্রেস নেতা? তাহলে কি তিনি ধীরে ধীরে বিজেপি মুখী হওয়ার চেষ্টা করছেন! কারণ এমনিতেও সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের সঙ্গে একটি টেবিলে বসা নিয়ে সেই কংগ্রেস নেতার বিদ্রোহী মনোভাব একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই পরিস্থিতিতে অরাজনৈতিক মিছিল হলেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পাশাপাশি কৌস্তব বাগচীর হাঁটাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। তবে কৌস্তুভবাবু অবশ্য বলে দিয়েছেন, বিকল্প প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন। মানুষের দাবি আদায় করতেই এই বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে মিছিলে তিনি হাজির হয়েছেন। এটা কোনো রাজনৈতিক দাবি আদায়ের মিছিল নয়। এটা চাকরিপ্রার্থীদের চোখের জল মোছানোর মিছিল। তাই সেখানে তার হাঁটতে কোনোরকম দ্বিধা নেই।

প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের আজকের মিছিল নিয়ে আদালতে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন যুক্তি দেওয়া হয়েছে এই মিছিল আটকানোর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত সেই মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। আর সেই মিছিলেই দেখা গিয়েছে এক অন্যরকম রাজনৈতিক চিত্র। কংগ্রেসের নেতা হলেও কৌস্তভ বাগচী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পাশাপাশি এই দাবি আদায়ের মিছিলে হেটেছেন। তবে আসল প্রশ্ন হচ্ছে, এই বঞ্চিতদের বিষয় নিয়ে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে বিজেপি এবং কংগ্রেস পাশাপাশি মিছিলে হাঁটলেও, কি তাতে মন গলবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের? আদৌ কি চাকরি পাবেন এই বঞ্চিতরা?

বিরোধীদের কটাক্ষ, অন্যান্য প্রতিবাদের মতোই এই প্রতিবাদ আটকাতেও সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে তা আটকানো যায়নি। তবে এবার হয়তো সরকারপক্ষ এই মিছিলকে বিরোধীদের মিছিল বলে বেলাগাম আক্রমণ করতেও দুবার ভাববে না। কারণ তাদের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। ভাত দেওয়ার তাদের ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোসাই হয়ে গিয়েছে। তবে যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং এই সরকারের বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে তাহলে এবার অন্তত তারা এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলেই আশা বিরোধী শিবিরের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনার প্রতিবাদে আজকে যে মিছিল কলকাতায় সংগঠিত হয়েছে, তা মনে রাখার মত। এর ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট হচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছেন। তাই কংগ্রেসের মধ্যে থাকলেও, যতই বিজেপি বিরোধীতা থাক, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মানুষের কষ্ট দূর করতে মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেল কংগ্রেসের কৌস্তুভ বাগচীকে। দিনের শেষে একটা জিনিস অন্তত স্পষ্ট হচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যে বিরোধিতার সুরকে চওড়া করেছেন, তা অনেকেই সমর্থন করছেন। যার কারণে বিজেপির সঙ্গে বিরোধিতা থাকলেও, শুভেন্দুবাবুকে পছন্দ করে মানুষের দাবি আদায় করতে রাস্তায় নামছেন একের পর এক হেভিওয়েট। তাই দিনের শেষে এই ন্যায্য আন্দোলন, মিছিল এবং প্রতিবাদে নবান্নের সিংহাসন কেঁপে ওঠা যে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, তাতে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!