প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পড়ুয়াদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। এই ক্রেডিট কার্ডের দ্বারা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। দশম শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর এমনকি ডক্টরেট বা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও এই কার্ডে ঋণের সুবিধা রয়েছে। এর জন্য আলাদা করে কোনো গ্যারান্টারের প্রয়োজন হচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজেই ঋণের গ্যারান্টার। ১৫ বছর পর্যন্ত ঋণ শোধের সময় পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এর সুবিধা পাওয়া যাবে। এখন এই প্রকল্পের আবেদন জানাতে দেখা গেছে রাজ্যের বাইরের পড়ুয়াদেরও।

পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য সর্বাধিক আবেদন জানাতে দেখা গেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে। এরপর রয়েছে কলকাতার স্থান। এখন আর শুধু রাজ্যেই নয়, রাজ্যের বাইরে থেকেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন আসতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১২ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে কর্ণাটক থেকে এসেছে সর্বাধিক। তা হলো ৭৫০০, ওড়িশা থেকে আবেদন করেছেন ৯০০ জন, তেলেঙ্গানা থেকে আবেদন ৩০০ জন, অন্ধপ্রদেশ থেকে আবেদন করেছেন ৬০০ জন, মহারাষ্ট্র থেকে আবেদন করেছেন ৩৫০ জন, উত্তরপ্রদেশ থেকে আবেদন করেছেন ৩৩০ জন, দিল্লি থেকে আবেদন করেছেন ২০০ জন, তামিলনাড়ু থেকে আবেদন করেছেন ২৮০ জন।

ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, পড়ুয়াদের স্বপ্ন সফল করতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ভীষণ ভাবে সহায়তা করবে। তিনি জানিয়েছেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মত এত বড় প্রকল্প সারা বিশ্বের মধ্যে এই প্রথম। এবার দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের মধ্যেও জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে এই প্রকল্প। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কাছে এই খবর অত্যন্ত আনন্দকর বলেই, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।