এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সর্বনাশ! জোরে গান গাইলেও তুমুলভাবে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস? এ কি নতুন তথ্য উঠে এল গবেষণায়?

সর্বনাশ! জোরে গান গাইলেও তুমুলভাবে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস? এ কি নতুন তথ্য উঠে এল গবেষণায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গানের কথা যখন এলো তখন করোনা পরিস্থিতিতে কবীর সুমনের একটি গানের কথা না বললেই নয়। তাঁর কথায় গানে স্মরণীয় হয়ে আছে “হাল ছেড়ো না বন্ধু/ কন্ঠ ছাড়ো জোরে”। কিন্তু নতুন গবেষণা কি সত্যিই এই জোরে কন্ঠ ছাড়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে? প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাস কে সংক্রামক ব্যাধি বলা হলেও এটি হাঁচি-কাশি বা সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে আসার ফলেই সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, কেবলমাত্র মানুষের সংস্পর্শে না এলেও কোনো সংক্রমিত মানুষ যে বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছেন সেই বাতাসও ইনফেক্টেড করতে পারে কোন সুস্থ মানুষকে। তাই এটিকে বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ বললেও অত্যুক্তি করা হবে না।

তবে এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে জোরে গান গাওয়ার কথা। সম্প্রতি, আটজন অপেরা শিল্পী সহ বারো জন সংগীতশিল্পীকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। সেখানে তাঁদের মধ্যে দু’জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এরপর রেকর্ডিং-এর সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে একটি ঘরে তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে গান গাইতে বলা হয়। এর মধ্যে অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা দিয়ে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যখন কোনো শিল্পী উদাত্ত কণ্ঠে গান গাইছেন, তখন তাঁর মুখ থেকে অতি বড় মাপের বাষ্পকণা নির্গত হচ্ছে। এবং তা তাঁর আশেপাশের বায়ুস্তরের অনেকটা জায়গা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ধীর কণ্ঠে গান গাইলে হচ্ছে তার উল্টো। কারণ সেক্ষেত্রে নিশ্বাস-প্রশ্বাসে জোর কম পড়ে। আর মুখ থেকে যে বাষ্পকণাগুলি বের হয় তা খুবই ছোট হয়। ফলে বায়ুস্তরে বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে পূর্বের একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছিল যে, কোনো একটি মানুষ যদি করোনা সংক্রমিত হয়। সেক্ষেত্রে সেই মানুষটি যে বাতাসে হাঁচছেন বা কাশছেন অথবা নিশ্বাস নিচ্ছেন, সেই বাতাসে তিন ঘন্টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের জীবাণু রয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো সুস্থ মানুষ সেই বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে তা ওই মানুষকে সংক্রমিত করতেই যথেষ্ট। করোনাকে তাই গবেষকরা বায়ুবাহিত রোগ বলেও স্বীকার করেছিলেন। তবে নতুন এই কথা আবার সেই গবেষণারই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে গবেষকদের মতে যদি নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে গান গাওয়া যায়, তাহলে হয়ত সংক্রমণকে অনেকটা এড়ানো গেলও যেতে পারে। তবে সেখানে অবশ্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া গবেষকদের কাছে সমস্যাটা হচ্ছে অন্য জায়গায়। কারণ যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে করোনা সতর্কতা শিথিল হয়ে আসছে বলেই মনে করেছেন তাঁরা। ফলে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা ছাড়া অন্যান্য করোনা সর্তকতাগুলি অবলম্বন করাতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে গাফিলতি। আর যে কারণেই মানুষ বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে এর একমাত্র উপায় হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা আর মাস্ক পরা। আর তা করলে এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!