এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সর্ষের মধ্যেই ভূত? অবলীলায় বিক্রি হয়ে গেল স্বাস্থ্য দপ্তরের জমি, কারণ জানতে জোড়া তদন্ত

সর্ষের মধ্যেই ভূত? অবলীলায় বিক্রি হয়ে গেল স্বাস্থ্য দপ্তরের জমি, কারণ জানতে জোড়া তদন্ত


আস্ত একটা সরকারি জমি। আর সেই সরকারি জমিই এখন কি না কোনো এক ব্যক্তির! কালনা মহকুমা অফিসের স্বাস্থ্য দপ্তরের ক্যাম্পাসে এহেন ঘটনায় রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। জানা যায়, ব্রিটিশ আমল থেকে কালনা শহরের কাছেই সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের হাসপুকুর এলাকায় গোটা মহকুমার স্বাস্থ্য পরিষেবার একমাত্র ভরসা এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি।

স্বাধীনতা লাভের পর গত 1974 সালে কালনাতে এসটিকেকে রোডের ধারে একটি নতুন হাসপাতাল ভবন গড়ে ওঠে। তারপর সেই হাসপুকুরের ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধুমাত্র কুষ্ঠ ও টিবি রোগের চিকিৎসা হতো। পরবর্তীকালে সেই সমস্ত রোগও নতুন হাসপাতালে চলে আসলে এখানে এখন বর্তমানে শুধুই মহাকুমা স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিস রয়েছে। কিন্তু হঠাৎই সেই এসিএমওএইচ অফিসটি তার বলে দাবি করছেন কালনা পুরসভার জাপটপাড়ার বাসিন্দা তুফান দে নামে এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এই জমি এবং সরকারি ভবনটি যে তিনি কিনে নিয়েছেন তার একটি কাগজপত্র সামনে আনেন এই তুফান দে। আর এই ঘটনার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। সরকারি ভবন এবং জমিটিকে বাঁচাতে “ঐতিহ্যবাহী ভবন রক্ষা কমিটি” গঠন করে গত 4 তারিখ একটি সভা করে সেই তুফান দের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন কানলা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ, ভাইস চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কালনা 2 ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রণব রায় এবং সাতগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা।

কিভাবে প্রশাসনের দখলে থাকা একটি আস্ত ভবন চলে গেলে অন্যের দখলে তা বুঝে পাচ্ছেন না কেউই। এদিন এ প্রসঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী ভবন রক্ষা কমিটির সদস্য প্রণব রায় বলেন, “মহাকুমা স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিস ও স্টাফ কোয়াটারে থাকা সম্পত্তি কখনো কারো ব্যক্তিগত হতে পারে না। আমরা কোনোভাবেই এটাকে বেদখল হতে দেব না।” অন্যদিকে এই গোটা ঘটনায় কালনা সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এই ভাবে একটি সরকারি সম্পত্তি কেন দখল করলেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই তুফান দে বলেন, “আমি আইনি ভাবেই সম্পত্তি কিনেছি। আমার নামে পরচাও রয়েছে। আমি যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে রাজি।” সব মিলিয়ে এখন প্রশাসনের অজানায় স্বাস্থ্য দপ্তরের জমি বিক্রি হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!