এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হঠাৎ বামেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুব্রত মণ্ডল, বড়োসড়ো চমকের তীব্র জল্পনা রাজনীতি মহলে

হঠাৎ বামেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুব্রত মণ্ডল, বড়োসড়ো চমকের তীব্র জল্পনা রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘকালের বাম শাসনের মূলোচ্ছেদ করেই তৃণমূল শাসনের প্রতিষ্ঠা। এবার তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর দীর্ঘদিন ধরে রক্তক্ষরণের পর এবার বিধানসভাতে বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়েছে বাম ও কংগ্রেস। একসময় বীরভূম জেলা লালদুর্গ বলে পরিচিত ছিল। এই জেলা থেকে জয়লাভ করতে দেখা গিয়েছিল লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে, রাজপাটের পরিবর্তনের পর বীরভূম জেলা হয়ে উঠেছে তৃণমূলের ঘাঁটি। এখানকার বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার আশ্চর্যজনকভাবে বামেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে।

সম্প্রতি বীরভূম জেলার সিঙ্গি গ্রামের কয়েকশত নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। যোগদান পর্বের অনুষ্ঠান থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানালেন যে, চৌতিরিশ বছর ধরে বাম শাসনের সঙ্গে পরিচিত তিনি। তবে, বামেরা এত মিথ্যা কথা কোনদিন বলতেন না। মানুষকে তাঁরা ঠকাতেন না। কিন্তু এখনকার বিরোধীদল মানুষ কিভাবে ঠকাচ্ছে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তা নিয়ে কিছু বলার নেই। যারা দল ত্যাগ করেছেন, তাঁরা ভালো করেছেন। সেসব লোক চলে যাওয়ায় তৃণমূলের এখন অনেক ভালো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর অনুব্রত মণ্ডল জানালেন যে, এটা সকলকেই মনে রাখতে হবে যে, তৃণমূল দলে একজনই নেত্রী। আর বাকিরা যেমন দলের কর্মী, তেমন তিনিও দলের একজন কর্মী। এটাই মনে রাখতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই দলে আর কেউ প্রধান নন। তিনি নিজেও দলের বিধায়ক বা সাংসদ নন। সকলের মত দলের একজন সাধারণ কর্মী তিনি। এভাবে, অনুব্রত মণ্ডলের মুখে বামেদের হঠাৎ প্রশংসা বিস্মিত করেছে রাজনৈতিক মহলকে।

কথায় বলে, রাজনীতিতে ফুল স্টপ বলে কিছু হয় না, সবকিছুই কমা বা সেমিকোলন। রাজনীতিতে চির শত্রু, বা চির মিত্র বলে, কোন কিছু নেই। আজ যে মিত্র, কাল সে যেমন শত্রু হতে পারে, তেমনি আজকের শত্রু, আগামী দিনে মিত্র হতেই পারে। অনেকে মনে করছেন, রক্তক্ষরণ হতে হতে সিপিএম এখন যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে তৃণমূলের হাত ধরলে দলের কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোল হতে পারে। আবার, তৃণমূলও হয়তো বুঝতে পারছে যে, বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে সিপিএমকে কাছে টানা আবশ্যক।

কারণ, বিধানসভায় সিপিএম কোনো প্রতিনিধি পাঠাতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল খোদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। অনেকে বলছেন, আগামী দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে যেমন তৃণমূলের জোট হবার সম্ভাবনা আছে, তেমনি জোটে শামিল হতে পারে বামফ্রন্টও। কারণ, রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। সম্প্রতি রাজ্যসভাতে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে বরখাস্ত করলে তার প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে সিপিএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, সিপিএম এখন তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যে কুস্তি, বাইরে দোস্তির নীতি নিতে পারে। যার আভাস পাওয়া যাচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা বাক্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!