এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিএমে নজিরবিহীন বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন

ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিএমে নজিরবিহীন বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন

২০১১ সালে রাজ্যের শাসনক্ষমতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হারানোর ফলে রাজ্য বামফ্রন্টের, বিশেষ করে সিপিএমের রক্তক্ষরন অব্যাহত। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আখেরে হারাতে হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমাও। আর তার পরবর্তীকালে বিভিন্ন উপনির্বাচনে অবস্থা হয়েছে আরও শোচনীয়, বিজেপির কাছে ভোটব্যাঙ্ক হারিয়ে বেশিরভাগ উপনির্বাচনেই জুটেছে তৃতীয়র তকমা। এই অবস্থায় রাজ্য-রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিএম নজিরবিহীনভাবে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদলের পথে হাঁটল। দলের ‘বৃদ্ধতন্ত্রের’ অবসান ঘটিয়ে সংগঠনে তরুণ রক্তের আমদানির পথেই জোড় দিল তারা। ৭২ ঘণ্টার টানটান বিতর্ক এবং ভোটাভুটির শেষে দলের কলকাতা জেলা কমিটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিলেন তরুণ নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জেলা সম্মেলন শেষ হয় সোমবার ভোর সাড়ে ৩ টেয়। ৬০ জনের ‘অফিশিয়াল’ প্যানেল পেশ হতেই তাকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটাভুটি চান ১৩ জন প্রতিনিধি। ফলে সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়লেন নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ সেন, আনোয়ারা মির্জা, খোকন মজুমদারের মতো প্রবীণ নেতারা। বদলে ধ্রুব চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিত্‍ ঘোষ, রাজেন্দ্র প্রসাদের মতো তরুণ নেতৃত্ত্ব এলেন জেলা কমিটিতে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মদন ঘোষ, মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে জেলা সম্পদকের দায়িত্ত্ব দেওয়া হল সিপিএমের প্রয়াত পলিটব্যুরো সদস্য চিত্তব্রত মজুমদারের ভাইপো কল্লোল মজুমদারকে। এছাড়াও আরও বড় খবর, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধিকাংশ সদস্যই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবিরোধী। সূত্রের খবর, এবার ৬০ জনের জেলা কমিটিতে নতুন মুখ ১৫, মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বও আগের তুলনায় বেড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!