বড়সড় সুখবর! করোনা আক্রান্তদের জন্য আশার আলো দেখালেন এইমসের ডিরেক্টর, মিলবে কি ভরসা? জাতীয় বিশেষ খবর June 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, দেশের করোনা পরিস্থিতির ছবিটি আরও ভয়ঙ্কর ভাবে ফুটে উঠছে। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ভারত করোনা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে বলে জানা গেছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চললেও বিভিন্ন সময় কখনো পরিযায়ী শ্রমিকদের আনাগোনা কিংবা কখনো আনলক ওয়ান পরিস্থিতির মধ্যে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বহু রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে করোনা আক্রান্তদের জন্য এবার কিছুটা আশার কথা শোনালেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলারিয়া। তাঁর কথায়, যদি কেউ একজন প্রথমবার করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে সে ক্ষেত্রে তাঁর দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। তবে সেই অ্যান্টিবডি কতদিন সক্রিয় থাকবে, সে ব্যাপারে তিনি অবশ্য কিছু জানাতে পারেননি। রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, যেহেতু অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যাবে তাই নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসলেও পুরনো আক্রান্তের শরীরে নতুন করে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা নিতান্তই কম। যদি করোনা আক্রান্ত হয়ও, তাহলে তার বাড়াবাড়ি হবে না শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির কারণে। গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা প্রসঙ্গে এদিন এইমসের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, যেভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে 70 থেকে 80 শতাংশ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রয়েছেন এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। গোষ্ঠী সংক্রমণ যে হচ্ছে না সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। অন্যদিকে বর্ষায় করোনা কমবে কিনা সে বিষয়েও আশার আলো দেখাতে পারেননি তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কারণ ইতিমধ্যে গ্রীষ্মকালে করোনা কমবে বলে একটি উঠেছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে করোনার প্রকোপ কমেনি তো বটেই বরং বেড়ে গেছে প্রবল হারে। অন্যদিকে বর্ষাকালের হাত ধরে বেশ কিছু রোগের আনাগোনা বেড়ে যায়। যার মধ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া অন্যতম বলে জানা যায়। ফলে আশংকা করা হচ্ছে, করোনার সঙ্গে যদি ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া জোট বাঁধে, তাহলে চিকিৎসকদের পক্ষে পরিস্থিতি সামলানোর কষ্টকর হয়ে উঠবে। একথাই মনে করছেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। অন্যদিকে বরাবরের মতোই বিশেষজ্ঞরা সাবধানতা ও সতর্কতার ওপর জোর দিচ্ছেন বেশি। কারণ তাঁদের মতে, যেভাবে সারাদেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছতে চলেছে, তাতে আগামী দিনে আরো মারাত্মক হয়ে উঠবে দেশের করোনা পরিস্থিতি। যেহেতু এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি, তাই সাধারণ মানুষকে এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী সাবধান রীতি মেনে চলতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দেশের করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কোন দিকে যেতে চলেছে, তার ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -