এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের রুপশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! “ঘুঘুর বাসা” সর্বস্তরে?

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের রুপশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! “ঘুঘুর বাসা” সর্বস্তরে?


 

বিবাহ থেকে শুরু করে মেয়েদের পড়াশোনার গতি আনতে নানা প্রকল্প করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মেয়েদের স্বনির্ভর হতে কন্যাশ্রী, স্কুলের দূরত্ব মেটাতে সবুজসাথী সাইকেল এবং বিয়েতে যাতে মেয়েদের খরচ না হয়, তার জন্য রূপশ্রী প্রকল্প আনা হয়। কিন্তু মেয়েদের বিবাহ যাতে বিনা খরচে দেওয়া যায়, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রূপশ্রী প্রকল্প নেওয়া হলেও এবার তাতেও ফাঁকফোকর পাওয়া গেল।

অভিযোগ, মুরশিদাবাদের ফারাক্কা ব্লকে “রূপশ্রী” প্রকল্পের নাম করে একদিকে যেমন বিবাহিত মহিলাদের নামে টাকা তোলা হয়েছে, ঠিক তেমনই ভুয়ো নামেও অনেক ক্ষেত্রে টাকা উঠেছে। যা নিয়ে এখন এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করতে হলে প্রথমে বেশকিছু নথির প্রয়োজন হয়। আর সেই নথিপত্র যাচাই করার পরেই সেই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়।

এমনকি আবেদনকারী সঠিক তথ্য দিচ্ছে কিনা, তা দেখবার জন্য তার বাড়িতে এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা ভিজিট করেন বলে জানা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্লকে কিভাবে এই প্রকল্পে অনিয়ম হল, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। একাংশের অভিযোগ, সরকারি আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের অনেকে হাতে হাত মিলিয়ে এই ভুয়ো নথি তৈরি করে এই প্রকল্পে অনিয়ম করেছে। আর এই ঘটনার সত্যতা উঠে আসার পর প্রকল্পের এক অফিসারকে বদলি করা হয়েছে বলে খবর।

তবে রূপশ্রী প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের তরফে এখন চরম কটাক্ষ করা হচ্ছে রাজ্যের শাসকদলকে। এদিন এই প্রসঙ্গে ফারাক্কা ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি সেলিম শেখ বলেন, “আমরা 12 জন বিবাহিত মহিলার নাম বিডিও অফিসে জমা দিয়েছি। তাদের প্রত্যেকের পাঁচ থেকে সাত বছর আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অথচ তাদের নামে টাকা তোলা হয়েছে। এরকম আরও অনেকের নামে ভুয়ো নথি তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে। সরকারি কর্মীরা এর সঙ্গে যুক্ত না থাকলে এরকম দুর্নীতি করতে পারে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই প্রকল্পে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।” অন্যদিকে এই বিষয়ে ফারাক্কার বিধায়ক মইনুল হক বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে তদন্ত করবার জন্য ভিডিওকে বহুবার বলেছি। কিন্তু এখনও মূল অভিযুক্তদের কোনো শাস্তি হল না। তারা বহাল তবিয়তে কাজ করছে।

বিডিও কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। তার মানে কি আমাদের ধরে নিতে হবে, দুর্নীতি অনেক গভীরে চলে গিয়েছে। যারা সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছে, তাদের প্রত্যেকের সাজা হওয়া দরকার।” বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সর্বসাধারণের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প করেছেন।

কিন্তু তিনি তা সদভাবে ব্যবহার করার কথা বললেও নিচুতলার তৃণমূল কর্মী থেকে সরকারি আধিকারিক অনেকের বিরুদ্ধে সেই প্রকল্পে দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল অনেকটাই খারাপ হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রূপশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আসায় রাজ্যের শাসক দল অনেকটাই বিপাকে পড়ল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!