এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করিমপুরে এল ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি, ফারাক দেখছে না তৃণমূল

করিমপুরে এল ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি, ফারাক দেখছে না তৃণমূল


 

বরাবরই নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিংয়ের অভিযোগ করে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে, বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে না, সেখানে গায়ের জোরে পঞ্চায়েত বা পৌরসভা দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়।

সেজন্য গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই 100% কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার প্রস্তাব ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল। কাকতালীয় ভাবে লক্ষ্য করা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পরে বিজেপি তার আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলে এবং বিপর্যস্ত হতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এবার করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য যখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অন্দরে।

সূত্রের খবর, স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা প্রবণ নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি থাকবে। আর তার রূপরেখা ইতিমধ্যেই স্থির হয়ে গেছে। জানা যায়, এই সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশকে নির্বাচনী সুরক্ষা সংক্রান্ত এই সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের এক কর্তার মতে, সুরক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা এখনই চূড়ান্ত ভাবে বলা যাবে না। বিভিন্ন সময় নতুন নির্দেশিকা চলে আসতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে 5 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে। তারা রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে বলেও খবর। কিছুটা লোকসভা নির্বাচনের কায়দাতেই নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দুই কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী করিমপুর থানায় রয়েছে এবং বাকি তিন কোম্পানি অন্যত্র রয়েছে। যেমন, থানাপাড়া, মুরুটিয়া, হোগলবেড়িয়া ইত্যাদি এলাকায়। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, থানার আইসি এবং অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচনী সুরক্ষা বাহিনীরা। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী তো বটেই, তাছাড়াও অন্যান্য বাহিনীদের দ্বারাও সবকটি বুথকেই যথেষ্ট নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। কৃষ্ণনগর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় বলেন, “বাহিনী এসে পৌঁছেছে। বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ শুরু হয়ে গেছে।”

জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে ইতিমধ্যেই জানা গেছে, বিরোধীরা যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে, অর্থাৎ সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে, এই দাবী কতটা মানতে পারবে প্রশাসন, তা এখনই ঠিকঠাক বলা যাবে না। তবে প্রতিবারই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোন বুথে কত জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে তার নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশিকা এসে পৌঁছায়নি বলে খবর। পুলিশের ওই কর্তার মতে, স্পর্শকাতর বুথগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাকি বুথের দায়িত্বে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিরোধীরা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দর কষাকষি করলেও এই বিষয়ে কিছুটা ডোন্ট কেয়ার মানসিকতাই বজায় রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন, দেশের বাইরে থেকেও সেনা নিয়ে আসুক। তাতেও খুব একটা লাভ হবে না। মানুষ ওদের বিভাজনের রাজনীতির যোগ্য জবাব দেবে।”

তবে করিমপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহযোগে নির্বাচনের প্রসঙ্গে বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “আমরা 100 শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোট সম্ভব নয়। আশা করি, কমিশন আমাদের এই দাবিকে মান্যতা দেবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করিমপুর এবার বিজেপি তাদের দখলে আনতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছে। আর তাই তাদের ভরসা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেদিক থেকে গেরুয়া শিবির কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি জোর লাগাতে শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে কত শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে, ভোটই বা কতটা অবাধে সম্পূর্ণ হয়, সেদিকেই লক্ষ থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!