এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > খেজুরীর ময়দান থেকে তৃণমূল নেত্রীর ব্যাপক শ্লেষ্মাত্মক আক্রমণ বিজেপি হেভিওয়েটকে

খেজুরীর ময়দান থেকে তৃণমূল নেত্রীর ব্যাপক শ্লেষ্মাত্মক আক্রমণ বিজেপি হেভিওয়েটকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র বলে বিবেচিত হচ্ছে সারা বাংলায়। নন্দীগ্রামের ওপর নজর সারা ভারতের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এবং তাঁর উল্টো দিকে রয়েছেন এই প্রথম গেরুয়া শিবিরের অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই লড়াইয়ের কারণেই নন্দীগ্রাম সংবাদ শিরোনামে। আজকে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থেকে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই মঞ্চ থেকেই নির্বাচনের টিকিট না পেয়েও যারা দলের জন্য কাজ করছেন, তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী যারা দল ছেড়ে চলে গেছেন টিকিট পাওয়ার আগে কিংবা টিকিট পাওয়ার পরে, তাঁদেরকে মীরজাফর, গদ্দার বলে উল্লেখ করেছেন। এদিন তিনি নাম না করেই বলেছেন, খেজুরির যে বিধায়ক টিকিট পাননি তার অন্যতম কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আসা বেশ কিছু অভিযোগ। আর সে কারণেই তৃণমূল নেত্রী তাঁকে টিকিট না দিয়ে এবারে খেজুরি থেকে টিকিট দিয়েছেন পার্থপ্রতিম দাসকে। মুখ্যমন্ত্রী আজ খেজুরিবাসীকে আশ্বাস জানিয়ে বলেছেন, যে কাজ বাকি আছে খেজুরিতে, ভোটে জিতলে নতুন বিধায়ক করে দেবে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জ্জী তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এদিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নাম না করেই তিনি বলেছেন, 2014 থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগ ছিল, কিন্তু ঘুণাক্ষরেও দলকে তা জানতে দেয়নি। সেক্ষেত্রে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে তাঁকে গদ্দার বলে ভূষিত করেছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক- কিছুটা প্রতি শব্দের মতন হয়ে উঠেছে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে। এই বক্তব্যের কারণ একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা মন্ত্রী-বিধায়ক- সাংসদ হওয়ার পরেও শুভেন্দু অধিকারী হঠাৎ করেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকেই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন। এই আক্রমণের বহর আরও বেড়েছে ভোটের আবহে।

নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে এবারে আমনা সামনা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর। আর তাই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে পারদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইলচেয়ারে বসে তিনি একদিনে প্রায় দু- তিনটি করে সভা করে চলেছেন। শনিবার খেজুরির সভা থেকেই তীব্র কটাক্ক করেন তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দুকে। প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু জানান, 2014 সাল থেকেই তাঁর বিজেপি শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাঁর এই বক্তব্যকেই পরবর্তীতে তৃণমূল শিবির হাতিয়ার করে তুলেছে।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এখন মীরজাফরকে কার্যত ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল শিবিরের নেতা মন্ত্রীরা। শুভেন্দু দল ছাড়লে এই অবস্থায় টেক্কা দিতে শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ান তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে টক্কর দিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম থেকে 50 হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে দাঁড়ান ময়দানে নামেন। এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে ভাষার প্রয়োগ করলেন আজ, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম। বাংলার মসনদ ক্র দখলে যায় সেদিকেই এখন নজর সবার। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের দখল কে নেয় সেটাও দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!