এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ পূর্ব মেদিনীপুরে একাধারে তিনটি জনসভায় যোগদান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম জনসভা করেছিলেন তিনি হলদিয়াতে, পরবর্তী জনসভা করেছিলেন তিনি খেজুরিতে, তৃতীয় জনসভা করেছেন তিনি পাঁশকুড়াতে। আজ হলদিয়ার জনসভা থেকে একদিকে তিনি যেমন বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন, অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন এখন থেকে প্রায়ই তিনি আসবেন হলদিয়াতে। হলদিয়াতে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তিনি। এরপরই তিনি সম্মান জানান বীরেন্দ্র শাসমল, মাতঙ্গিনী হাজরা, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী
প্রমুখদের।

যেখানে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, ক্ষুদিরাম বসু গান গেয়েছিলেন, “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, হাসি হাসি পরবো ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী।” তাঁর এই বক্তব্য তীব্র শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ দেশাত্মবোধক ও অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গানটির স্রষ্টা স্বয়ং ক্ষুদিরাম নন, বরং তাঁকে উৎসর্গ করে এই গানটি লেখা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ হলদিয়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, মেদিনীপুরে একবার নয় বারবার আসবেন তিনি। মেদিনীপুর জেলা হলো স্বাধীনতার জেলা। মেদিনীপুর জেলা হল পবিত্র পূণ্যভূমি। এই জেলা বীরেন্দ্র শাসমলের জেলা, সতীনাথ সামন্তের জেলা, মাতঙ্গিনী হাজরার জেলা, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জেলা, ক্ষুদিরাম বসুর জেলা, প্রফুল্ল চাকীর জেলা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ” ক্ষুদিরামের জেলা যিনি গান গেয়ে বলেছিলেন একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী। আর এঁরা বলছে একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, টাকা বাঁচাতে বারবার যেন আসি।”

ইতিপূর্বে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে ক্ষুদিরাম দাস বলে বিতর্কর সৃষ্টি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার আবার বিতর্ক সৃষ্টি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ দেশাত্মবোধক গান একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি গানটি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে উৎসর্গ করে লেখা, তবে গানটি ক্ষুদিরাম বসু নিজে লেখেন নি। এর স্রষ্টা নিয়ে মতান্তর আছে। অনেকে মনে করেন গানটি চারণ কবি মুকুন্দ দাসের লেখা, তিনিই এর সুরকার। আবার অনেকে বলে থাকেন যে, কোনো এক অজ্ঞাত কবি এই গানটি লিখেছেন।

আবার অনেকে মনে করেন যে, এই গানটি রচনা করেছেন ও সুর দিয়েছেন বাঁকুড়ার লোক কবি পীতাম্বর দাস। প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নেতাজি সুভাষচন্দ্র ছবিতে এই গানটির ব্যবহার ছিল। যেখানে এই গানটি গেয়েছিলেন সংগীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে স্মরণ করে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই গানটি রচিত হয়েছিল। যার জনপ্রিয়তা এখনো ম্লান হয়নি, কিন্তু এর প্রকৃত স্রষ্টার নাম এখনো জানা যায়নি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!