এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ইডির ফাজলামি বন্ধ হোক, অমিত শাহের দ্বারস্থ সুকান্ত! মহা ফাঁপড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা!

ইডির ফাজলামি বন্ধ হোক, অমিত শাহের দ্বারস্থ সুকান্ত! মহা ফাঁপড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা, গরু এমনকি বালি মাফিয়া, দুর্নীতির দায়ে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ। সন্দেহভাজনদের তালিকায় উঠে এসেছে তৃনমূলের ছোট, মেজো এমনকি শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বদের নাম। তদন্তের জেরে ইতিমধ্যেই শ্রীঘরে জায়গা হয়েছে বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে রাজ্যের হেভিওয়েট পূর্নমন্ত্রী পর্যন্ত। কিন্তু বাংলার কপাল! দুর্নীতির এই বেড়াজাল যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই জালে জড়িয়ে পড়েছে একেবারে শীর্ষ স্তরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তালিকা থেকে বাদ পড়েননি তৃনমূলের এক হেভিওয়েট যুব নেতার নাম। কিন্তু বিরোধীদের তরফে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, কেন একজন ব্যাক্তিবিশেষের জায়গায় গিয়েই থেমে যায় ইডির তদন্ত? গ্রেপ্তার করা যায় না তাকে? জিজ্ঞাসাবাদের দিন উপস্থিত হলে সদর্পে বেড়িয়ে এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুন্ডপাত করতে দেখা যায় তথাকথিত তৃণমূলের যুবনেতাকে। প্রশ্নটা ছিল, আছে এবং থাকবে। এবার এই প্রশ্নের আগুনকেই আরও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিযুক্তকে নয়, সরাসরি ইডিকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে বিচারপতি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাদের তদন্তে গাফিলতি রয়েছে। আর বিচারপতির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই ইডিকে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

দুর্নীতির অর্থের পরিমাণ যেখানে পাহাড় প্রমান, সেখানে তার ছিটেফোঁটা দিলেই যে মুখবন্ধ করে দেওয়া যায় একাধিক আধিকারিকের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু রাজনৈতিক প্রয়োজনেই হোক বা গনতন্ত্রের প্রয়োজনে, তৃণমূল কংগ্রেসকে রেয়াত করতে যে প্রস্তুত নয় ভারতীয় জনতা পার্টি, তা এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বিচারপতির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে ইডির বিরুদ্ধেও তদন্ত হোক। আমরা বিচারপতির এই সমস্ত পর্যবেক্ষন গৃহমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। কিন্তু কোনোভাবেই দোষীদের রেয়াত করা হবে না।”

আর সুকান্তবাবুর এই মন্তব্যের পরেই রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃনমূল দমনে মরিয়া বিজেপি যে কোনো রকমের বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। রাজ্য সভাপতির তরফে যদি এই ধরনের অভিযোগ যায় অমিত শাহের কাছে, তাহলে কোনোরকমের সমঝোতার হাতিয়ারই রক্ষা করতে পারবে না অভিযুক্ত হেভিওয়েটের।বলা বাহুল্য, কয়েকমাস পরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতবর্ষের লোকসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বাংলা বলেই বিশ্বাস ওয়াকিবহাল মহলের।

তাই সেই বাংলাকেই দখল করতে এবং বাংলায় প্রধান প্রতিপক্ষ তৃনমূল কংগ্রেসকে টাইট দিতে আটঘাট বেঁধে নামতে বদ্ধপরিকর দেশের শাসক দল।‌ কিন্তু প্রকৃতই যদি সম্পূর্ণ গতিবেগে তদন্ত চালাতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে তৃনমূল কংগ্রেসের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের যে ঘনঘটা নেমে আসবে, তাকে রোখার ক্ষমতা নেই স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর বলেই মত একাংশের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইডি, সিবিআই ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সংস্থা। কোনো রাজ্য সরকার এই সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে না। তাই রাজ্যের শাসকদলের ওপরে যদি কোনো অভিযোগ ওঠে, সেক্ষেত্রে সাধারন মানুষের শেষ আশা ভরসা সেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোই। কিন্তু বিচারপতির সন্দেহ অনুযায়ী যদি সত্যিই সর্ষের মধ্যে ভূত থাকে, তাহলে তদন্তকারী সংস্থার ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাবে দেশের জনগনের। আর একথা আগেভাগেই যেমন বুঝেছেন জাস্টিস সিনহা, তেমনই টনক নড়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতির। তাই আর ধরি মাছ না ছুঁই পানি নয়। একেবারে ধর তক্তা মার পেরেক রাস্তায় হাঁটতে চলেছে পদ্মফুল শিবির। এখন সুকান্তবাবুর এই অভিযোগ অমিত শাহের টেবিলে যাওয়ার পরে তদন্ত কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা বাংলার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!