বিজেপি জুজু উড়িয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে তৃণমূলীদের নয়া নিদান অন্যতম শীর্ষ নেত্রীর! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য January 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশী দেরী নেই। জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের। তবে প্রবল তৎপরতা দেখালেও তৃণমূল শিবিরে কিন্তু জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। একের পর এক নেতা-নেত্রী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কিংবা দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শুরু থেকেই তৃণমূলকে কিছুটা ব্যাকফুটে রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দলের শীর্ষ নেতা নেত্রীরা ইতিমধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন। সেই সূত্রেই এবার দলীয় নেত্রী কথা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিলেন দলীয় সৈনিক হিসেবে কাজ করার জন্য। বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের বহু নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রভাব খাটাচ্ছেন এলাকায়, যা প্রকারান্তরে শাসক দলের প্রতি মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আর তাই এবার প্রত্যেক নেতা কর্মী নিজ এলাকায় যাতে দলীয় সৈনিক হিসেবে কাজ করে, সেরকমই নির্দেশ দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুক্রবার তিনি কৃষ্ণনগর রবীন্দ্র ভবনের জেলা মহিলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই তিনি বার্তা দেন, যত বড় নেতা বা নেত্রীই হোন না কেন, নিজের বুথে শুধুমাত্র সেনা হিসেবে কাজ করতে হবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, রাজ্যের মহিলারাই তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকারকে আবার বাংলার মসনদে ফিরিয়ে আনবে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে সব থেকে বেশি চর্চা চলছে দলবদল নিয়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেভাবে তৃণমূল থেকে নেতা-নেত্রীরা বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদান করছে, তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। তবে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলবদলের ব্যাপারটিকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নন। ঠিক একই সুরে এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বুঝিয়ে দিলেন, দলবদল প্রসঙ্গটিকে তিনি আমল দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গণতান্ত্রিক দেশে যে যার নিজের মতো রাজনৈতিক দল করতেই পারেন। সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “কে কী প্রলাপ বকছে তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। মাথাব্যাথা নেই মানুষেরও। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন। তাকেই তারা এবার আবারও মুখ্যমন্ত্রী করবেন।” খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে তাঁর ইঙ্গিত গেরুয়া শিবিরের দিকেই। পাশাপাশি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন দাবী করেছেন, রাজ্যের উন্নয়নের হাত ধরেই আবারও তৃণমূল সরকার ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত দুয়ারে সরকার কর্মসূচী এখন তৃণমূল নেতা নেত্রীদের মুখে মুখে। অন্যদিকে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই সরব বিরোধী শিবির। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, তদন্ত তদন্তের নিয়মে চলবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরের দলীয় ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। আর এই বর্ধিত ফাটল দিয়ে প্রবেশ করছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্যে তৃণমূল নেত্রী সহ শীর্ষ নেতাদের। আপাতত জোরদার চর্চা চলছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ কে দখল করবে তা নিয়ে। আপনার মতামত জানান -