এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উপ-নির্বাচনের পাল্টা পৌরভোট, মমতাকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল দিলীপের!

উপ-নির্বাচনের পাল্টা পৌরভোট, মমতাকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল দিলীপের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে বহু চেষ্টা করেও বিজেপি তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। 200 আসনের টার্গেট দিয়ে মাত্র 77 টি আসন পেয়ে বিজেপির বিজয়রথ থমকে গিয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তবুও পরাজিত হওয়ার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়াও রাজ্য মন্ত্রিসভার এমন বেশ কিছু সদস্য আছেন, যাদেরকে ছয় মাসের মধ্যে যে কোনো একটি বিধানসভা থেকে জয়লাভ করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। রাজ্য সরকারকে চাপে রাখতে করোনা পরিস্থিতিকে হাতিয়ার বানিয়ে বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে। যা তৃণমূল সরকারের কাছে যথেষ্ট চাপের কারণ হবে।

কেননা ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন না হলে মুখ্যমন্ত্রী সহ যারা ভোটে না লড়েই মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন, তারা তাদের পদ তারা খোয়াতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন নিয়ে কার্যত তৃণমূলের মধ্যে যখন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই দ্রুত উপনির্বাচন করানো দরকার বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চাপে ফেলে দিয়ে রাজ্যের অধীনে থাকা পৌরভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে শোরগোল ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের অধীনে থাকা পৌরভোট করার দাবি জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যেখানে তিনি বলেন, “দুই বছর যে পৌর নির্বাচন হয়নি, তার জবাব কে দেবে! উপনির্বাচন আমাদের হাতে নেই. ওটা নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে. পৌরনির্বাচন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে. উনি কেন করাচ্ছেন না! ভয় পাচ্ছেন বিজেপিকে? করে দেখুন।” বস্তুত, প্রায় অনেকদিন ধরেই রাজ্যের পৌরসভাগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সেই পৌরসভাগুলোতে প্রশাসক বসিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তখন থেকেই কেন নির্বাচন করানো হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে এই সমস্ত পৌরসভার নির্বাচন করা হচ্ছে না। আর সম্প্রতি উপনির্বাচন নিয়ে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, তখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে পৌর নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে চাপে রাখার একমাত্র লক্ষ্য এই পৌরসভা নির্বাচন। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপিকে চাপ দিতে প্রস্তুত, ঠিক তখনই পাল্টা পৌরভোট নিয়ে সরকারকে চাপ দিয়ে শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন কেন হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের সেনাপতিকে। অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষের এই দাবির পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করলেও, অনেক পৌরসভায় বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে খারাপ ফলাফল রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার কারণে সেই পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে পৌরভোট করার কথা বলি সরকারকে ব্যাপক চাপে ফেলে দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। এখন দিলীপ ঘোষের গলায় পৌরভোট নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!