এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আনুষ্ঠানিক দলত্যাগ হলেও আধিকারিক দলত্যাগে কি নারাজ মুকুল! বিধানসভার আসন নিয়ে তৈরি ধন্দ!

আনুষ্ঠানিক দলত্যাগ হলেও আধিকারিক দলত্যাগে কি নারাজ মুকুল! বিধানসভার আসন নিয়ে তৈরি ধন্দ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলার রাজনীতিতে তিনি অত্যন্ত কৌশলী রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত। 2017 সাল থেকে 2021 সাল পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছেন মুকুল রায়। তার আগে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। তবে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পর তিনি যে আবার ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসবেন, তা অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি। তবে বিজেপিতে সঠিক মর্যাদা না পাওয়ার কারণে সেই মুকুল রায় 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করার পর আবার নিজের পুরাতন ঘরে ফিরে এসেছেন।

এদিকে মুকুলবাবু দলত্যাগে করার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে যাতে দল ভাঙানোর প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত না হয়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি পিএসি কমিটির জন্য মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর বক্তব্য। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পরেও পিএসি কমিটির জন্য তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “মুকুল রায় তো বিজেপি পার্টির মেম্বার‌। ওকে আমরাও সমর্থন দেব।” আর তারপরেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায় যে, শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।

তবে তা যাতে রক্ষা করা যায়, তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কৌশলপূর্ণ মন্তব্য করলেন। তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এবার নিজের বিধায়ক পদ রক্ষা করতে কি মুকুল রায়কেও বিধানসভার অলিন্দে অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক ভাবে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেও, নিজের বিধায়ক পদ রক্ষা করার জন্য এবার বিধানসভায় তাকে অন্য ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে দলবদল করে তৃনমূলে যোগ দেওয়া এবং বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন এই বিজেপি বিরোধী বেঞ্চে বসতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ বিধানসভার ভেতরে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর তৃণমূলের সদস্য হলেও, বিরোধী বেঞ্চে বসেই তাকে শাসক পক্ষকে সমর্থন করতে হতে পারে বলে দাবি করছেন একাংশ। অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেণ এখন নিজের বিধায়ক পদ রক্ষা করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুকুল রায়ের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে হয়ত মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও, প্রশাসনিক স্তরে এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। কেননা খাতায়-কলমে এখনও পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মফুলের টিকিটেই কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন মুকুল রায়। তাই এই পরিস্থিতিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর তাকে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে তার বিধায়ক পদ খারিজ করা যায়, তার জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

যার জেরে মুকুল রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই বাইরে তৃণমূলের সদস্যের ভূমিকা পালন করলেও, এবং শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও, বিধানসভায় বিধায়ক পদ রক্ষা করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী অর্থাৎ বিজেপির বিরোধী দলনেতার পাশেই বসতে হতে পারে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ককে।

তবে এই ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়টি জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে অধিবেশন শুরু হলে মুকুল রায়ের বিধায়ক হিসেবে কোন আসন বরাদ্দ হয়, দলবদল করা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ট্রেজারি নাকি বিরোধী বেঞ্চে বসেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!