এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট পরবর্তী হিংসা নিরসনে বিশেষ পদক্ষেপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের, তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার

ভোট পরবর্তী হিংসা নিরসনে বিশেষ পদক্ষেপ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের, তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২ রা মে ভোট গণনার পর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ বারবার উঠেছে। বিরোধী দল মূলত বিজেপির অভিযোগ, বেছে বেছে তাদের কর্মীদের মারধর, হেনস্থা, বাড়িঘর, দোকানপাট, ভাঙচুর, লুটতরাজ চলছে। বহু বিজেপি কর্মী প্রাণ বাঁচাতে ঘরছাড়া। এমনকি মহিলাদেরও অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। যদিও, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে কোন হিংসার পরিবেশ নেই, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আছে।

শেষ পর্যন্ত ভোট পরবর্তী হিংসার খোঁজ নিতে রাজ্যে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক স্থান পরিদর্শন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বেশকিছু এলাকা। আজ ভোট পরবর্তী হিংসার কথা জানতে বিশেষভাবে শুনানির আয়োজন করা হলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ শুনতে আজ এক বিশেষ শুনানির আয়োজন করতে চলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আজ সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে সিআরপিএফের স্টাফ মেসে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে শুনানি চলবে। ভোট পরবর্তী হিংসাতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এখানে এসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের কাছে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রাজীব জৈন স্বয়ং এই শুনানিতে অংশ গ্রহন করতে চলেছেন। ভোট-পরবর্তী হিংসাতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সরাসরি তাঁর কাছে গিয়ে নিজেদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন।

তবে, যারা সরাসরি অভিযোগ জানাতে আসতে পারবেন না, তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য একটি ইমেল আইডি, দুটি মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। যেখানে নিজেদের সমস্ত তথ্য দিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে অভিযোগ জানানো যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যদি অনলাইনে অভিযোগ জানানো হয়, সেক্ষেত্রেও অভিযোগকারীরা বিচার পাবেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, আজকের এই শুনানিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ যোগদান করতে পারবেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এই শুনানি চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপ তীব্র অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের। শুনানি, পর্যবেক্ষণের পর ভোট-পরবর্তী হিংসার বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে? সে দিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!