বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গের তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা, বিজেপি যোগের জল্পনা উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য June 29, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবার উত্তরবঙ্গে একটি আসনও নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। আটটার মধ্যে সাতটা আসনে বিজেপি এবং একটিতে কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। আর উত্তরবঙ্গে দলের ভরাডুবিতে রীতিমত আতঙ্কিত রাজ্যের শাসক দল দলীয় সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছে। তবে সংগঠনকে ঢেলে সাজালেও ভাঙ্গন কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না তৃণমূলের। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের 10 জন সদস্য গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর এবার উত্তরবঙ্গের আরেক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার দলবদলের জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। যেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত ত্যাগের কথা তুলে ধরে লেখেন, “এত কষ্ট করে সব করলাম। কলকাতা ছেড়ে সব ত্যাগ করে চলে এলাম। নিজের আয়, পরিবার কাউকেই দেখিনি। তারপরও সমস্ত কিছু মানব কেন! আমার বাবা বলেছিলেন তোকে একাই লড়তে হবে। তাই লড়ব।” আর উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার এহেন ফেসবুক পোস্ট ঘিরেই এবার রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন হঠাৎ এই ধরনের পোস্ট করতে গেলেন সৌরভবাবু! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলের একাংশ। অনেকে বলছেন, মুকুল রায় তৃণমূলে থাকার সময় এই সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।বর্তমানে সেই মুকুল রায় বিজেপিতে গেলেও সৌরভবাবু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে দলের এই ভরাডুবির পর যখন দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর বার্তা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই কিছুটা দলের বিরুদ্ধেই বিষাদগ্রস্ত হয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতির এহেন পোস্ট শাসক দলকে অত্যন্ত ভাবাচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বস্তুত, শনিবারই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে দলীয় বৈঠক করতে আসছেন। ফলে তার আগে সেখানকার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতির এই পোস্ট অত্যন্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সৌরভ চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেলায় অনেক নেতার আচরণ যে মানুষ মানছে না সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। আমি জেলা সভাপতি। মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। দিদি যদি সাহায্য করেন, তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরতে পারে।” কিন্তু যদি নেত্রী ঠিকমতো সাহায্য না করে, তাহলে তাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে বলেও এদিন জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন সৌরভ চক্রবর্তী। আর এখানেই একাংশ বলছেন, তাহলে কি এবার তৃণমূল ছাড়ার পথে এগোচ্ছেন উত্তরবঙ্গের এই হেভিওয়েট নেতা! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগে প্রথমে কংগ্রেস এবং তার পরে তৃণমূলে এসেছেন সৌরভবাবু। ফলে ফের যদি তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে বলে মনে করছে তার অনুগামীরা। তাই সেদিক থেকে দলে থেকেই এখন তিনি কতটা নেত্রীকে বুঝিয়ে দলকে তার মত করে চালাতে পারেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আর যদি তা না হয় তাহলে সৌরভ চক্রবর্তীর পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক কোন দিকে মোড় নেয়, তার দিকেই নজর প্রত্যেকের। আপনার মতামত জানান -