প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যশের কারণে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়েছে কলকাতায়। আবার এর সঙ্গে আজ রয়েছে পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ। যে কারণে গঙ্গার জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাবে। যার ফলে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। জলে ডুবে যেতে পারে মহানগরী। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আজ পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে যেমন তীব্র বেগে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থাকবে, সেইসাথে কলকাতায়ও থাকবে প্রবল বৃষ্টি ও ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে ঝড়। ভরা কোটালের সময় ঝড়, জলোচ্ছ্বাস বড়সর বিপদ ডেকে আনতে পারে। জোয়ারের সময় শহরের ভেতরে ঢুকে যেতে পারে।

এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরবাসীকে বারবার সচেতন করা হয়েছে। গতকাল কলকাতার বিদায়ী ডেপুটি মেয়র ও প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন যে, কলকাতা হলো একটি বাটির মতো। এর জমা জল বাগজোলা, চড়িয়াল, বিদ্যাধরীর মতো যেদিক দিয়ে যেতে দেয়া হোক না কেন, গঙ্গা বা সাগরের মোহনায় গিয়ে পড়ে সেই জল। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাতে লকগেট বন্ধ থাকার কারণে জমা জল আটকে গিয়ে শহর কয়েক ঘণ্টার জন্য জলমগ্ন হতে পারে। তাই শহরবাসীকে তিনি আজ গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে গতকাল কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তারক সিং শহরের লকগেট গুলি পরিদর্শন করলেন। আজ সকাল সাড়ে দশটার পর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত লকগেট গুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভরা কটাল থাকার কারণে গতকাল গঙ্গার জলের উচ্চতা ১৬.৭৫ ফুটে চলে গিয়েছিল, আজ তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭.২৫ ফুটের উপরে চলে যাবার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বন্ধ রাখা হবে লকগেট। এ সময় যদি প্রবল বৃষ্টি হয় তবে সেই বৃষ্টির জল আটকে গিয়ে শহর জলমগ্ন হয়ে যাবে।

অন্যদিকে আজ ঝড়ের আশঙ্কা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকতে চলেছে। আজ সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। শহরের সমস্ত উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বছর আম্ফান ঝড়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। তাই এবার অধিক তৎপরতা নেওয়া হয়েছে।