এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গন, তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা সমেত তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে

ফের শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গন, তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা সমেত তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হওয়ার পরই একাধিক নেতা, বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করেন। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। দলবদলের এই পালা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে এবার ফের শাসক দল তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

সূত্রের খবর, আজ রানাঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে রানাঘাট ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ সরকার সহ বেশ কিছু শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2007 সাল থেকে প্রায় সাত বছর টানা এই রানাঘাট 1 ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন প্রদীপ সরকার ওরফে কাজু।

আর এরপর গত 2017 সালে তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময় রানাঘাট 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও ঠিকাদারীরাজ চালানোর অভিযোগ করেন সেই প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাপস ঘোষরাই অন্তর্ঘাত করে দলের প্রার্থীকে হারিয়েছিল। কিন্তু তারপরও দলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে পাল্টা তাপস ঘোষ বলেন, “উনি পঞ্চায়েত ভোটে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছেন। তাই এখন দল ছাড়ার আগে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। ওরাই লোকসভা ভোটে আমাদের প্রার্থীকে হারিয়েছেন। তাই ওনার এখন বিজেপিতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”

অন্যদিকে রানাঘাট 1 ব্লকের পাশাপাশি হাসখালি ব্লকের বেশকিছু তৃণমূল নেতাও বিজেপির দিকে যেতে পারেন বলে জানা গেলেও পরবর্তীতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রদীপ সরকারের বিজেপিতে যোগ দেওয়া সম্পর্কে তিনি এখনও কিছু জানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শংকর সিং।

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, “তৃণমূল থেকে অনেকেই আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, আমরা তাদেরই দলে গ্রহণ করব।” সব মিলিয়ে এবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হওয়ার পর শাসক দল ভেঙে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!