এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলছুটদের বিধায়কদের নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, তবুও চাপে শাসকদল

দলছুটদের বিধায়কদের নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, তবুও চাপে শাসকদল

কথায় আছে, “নিজের বেলায় আটিসুটি, আর পরের বেলায় চিমটি কাটি।” দলবদলের হিড়িকে বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে যেন এই প্রবাদ প্রবচনটাই সত্যি হতে চলেছে। অনেকে ভাবছেন, হঠাৎ বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে এই প্রবাদ প্রবচনের সাদৃশ্য কোথায়! কিন্তু এতে আশ্চর্য হওয়ার তেমন কিছু নেই।

আসলে রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার আসলে একের পর এক বিরোধীদলের বিধায়কদের তারা নিজেদের দিকে আনতে শুরু করে। যার ফলে অনেক বাম এবং কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো বিধায়ক কোনো দলের টিকিটে জিতে পরবর্তীকালে অন্য কোনো দলে যোগ দেয়, তাহলে তাকে তার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে হবে। কিন্তু বিধানসভায় এই নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ব্যাপারে দাবি জানানো সত্ত্বেও তাকে আমল দেয়নি শাসক দল।

কিন্তু ঠেলায় না পড়লে বিড়াল যে গাছে ওঠে না, তা এবার স্পষ্ট হয়ে গেল। কেননা লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিতে শুরু করেছে বিজেপিতে। যা নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি ভবিষ্যতে রাজ্যের শাসকদলের অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবে বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেছে বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তথা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গলায়। আর একের এর পর এক বিধায়ক এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়া শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য স্পিকারের কাছে আর্জি জানানো হবে এমনটাই জানা গেছে তৃণমূলের তরফ থেকে।

শাসকদল সূত্রের খবর, রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনেই পরিষদীয় দলের তরফে এই বিষয় নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। আর এখানেই একাংশ প্রশ্ন করছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কদের বিধায়ক পদ যদি খারিজ হয়, তাহলে এতদিন বাম এবং কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়কদের কেন বিধায়ক পদ খারিজ হবে না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, বঙ্গ রাজনীতিতে এটা বড়ই মজার কারণ। এতদিন শাসক দল বিরোধী দলের বিধায়কদের নিজেদের দিকে টানলেও তাদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি। এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া বিধায়কদের যদি শাসকদলের পক্ষ থেকে বিধায়ক পদ খারিজ করার আর্জি জানানো হয়, তাহলে বাম এবং কংগ্রেস থেকে আসা তৃণমূলের বিধায়কদের বিধায়ক পদ আদৌ খারিজ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় কি না শাসক দল, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

তবে বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, বিধানসভার অধিবেশন সম্পর্কে তৃণমূল বরাবরই উদাসীন। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব শীঘ্রই বিধানসভার দফাওয়াড়ি বাজেট অধিবেশন বসবে। ভোটের জন্য কিছুটা সময় দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে যারা তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক পদ না ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন রোধ মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে।”

কিন্তু শাসকদলের পক্ষ থেকে সকলের ক্ষেত্রেই আইনটা এক করার ব্যাপারে স্পিকারের কাছে আবেদন জানানো হয় কিনা এখন সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!