এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > লক্ষ্মীর ভান্ডারেও গলছে না জনতা, চরম বিপদে মমতা সরকার? ভয়াবহ আন্দোলন কলকাতায়!

লক্ষ্মীর ভান্ডারেও গলছে না জনতা, চরম বিপদে মমতা সরকার? ভয়াবহ আন্দোলন কলকাতায়!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে রাজ্যের মানুষকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে এই সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। রাস্তায় বসে যারা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু লক্ষীর ভান্ডারের 500 টাকার ভাতা দিয়ে তিনি ভাবছেন, সাধারন মানুষের মন জয় করে নেবেন। কিন্তু এবার সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন আন্দোলন করা চাকরি প্রার্থীরা। যখন পুলিশ তাদের টেনে হিচড়ে গাড়িতে তুলছে, ঠিক তখনই সেই চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আওয়াজ তোলা হলো, লক্ষীর ভান্ডার নয়, তারা চাকরি চান।

প্রসঙ্গত, এদিন সল্টলেকে আপার প্রাইমারির পারিবারিক চাকরি প্রার্থীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে বসে পড়েন। কিন্তু সেখানেই পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলা হয় চাকরিপ্রার্থীদের‌। সহানুভূতি না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে উদ্যত হয়। কন্ঠরোধ করা হয় তাদের আন্দোলন প্রক্রিয়ার। কিন্তু এভাবে আর কতদিন পুলিশের নির্যাতন সহ্য করবেন চাকরি প্রার্থীরা? তাই যখন তাদের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, তখনই তারা আওয়াজ তুললেন, তারা তাদের চাকরি চান। লক্ষীর ভান্ডার নয়, চাকরি দিয়ে তাদের মুখে অন্ন তুলে দিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আর চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এই আওয়াজ ওঠার পরেই একাংশ বলছেন, এবার কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভুল ধারণা ভেঙে প্রকৃত সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করবেন? নাকি ভাতা, ভর্তুকি দিয়েই রাজ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবেন?

বিরোধীদের দাবি, বিগত নয় বছর ধরে এই আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন। আদালতের নির্দেশের ফলে তারা প্যানেল ভুক্ত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের এখনও পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়নি। তাই সেই দাবিতে তারা যখন আন্দোলন করছেন তখন তাদের পুলিশ দিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এদিন তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। যার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের বোঝা উচিত যে, বাংলার মহিলারা এক লক্ষীর ভান্ডারে 500 এবং 1000 টাকা পেয়ে মোটেই খুশি নয়। মুখ্যমন্ত্রী যদি ভেবে নেন, এই টাকা দিয়ে তিনি মানুষের ভোট ব্যাঙ্ক কিনে নিয়ে যাবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের বিরুদ্ধে এটা শুধু চাকরি প্রার্থীদের কথা নয়। এটা প্রত্যেকটি পরিবারের মহিলাদের কথা। তাদের বক্তব্য, ভাতা, ভর্তুকি কিছুই দিতে হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি শুধু বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করুন। যারা শিক্ষিত, যারা ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাদের চোখের জল মোছানোর ব্যবস্থা করুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে এই ভাতা দিয়ে রাজ্যকে পঙ্গু করতে হবে না। বরঞ্চ মাথা তুলে দাঁড়াবে পশ্চিমবঙ্গ। আর সেই পশ্চিমবঙ্গের উন্নতিকরনের জন্য সবাই এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দিয়ে তার দলকে ক্ষমতায় বসাবেন। কিন্তু এই সরল সত্য না বুঝে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল এতসবের পরেও ভাতা দিয়েই রাজ্যকে বিপদের মুখে ঠেলে দেন, তাহলে আগামী দিন আরও বিপদ অপেক্ষা করছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!