মমতার মুখোশ খুলে দিল আদালত ! জাস্টিস সিনহার বড়সড় নির্দেশ, জয় পেল বিরোধীরা ! রাজনীতি রাজ্য October 11, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলের কাছে কার্যত ভয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তার একের পর এক নির্দেশ তৃণমূলের মুখোশ টেনে খুলে দিচ্ছে। আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর সেই বিচারপতির আরও একটি নির্দেশ প্রবল চাপে ফেলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিলই যে, পঞ্চায়েতে এবারেও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিরোধীরা জিতলেও তৃণমূল পুনর্গণনা করিয়ে তাদের প্রার্থীদের জিতিয়ে নিয়েছে প্রশাসনকে ব্যবহার করে। আর এবার সেই রকমই একটি বড়সড় মামলায় বড়সড় নির্দেশ দিলেন জাস্টিস সিনহা। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদার মারুমসিনা গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী জয়লাভ করেছিল বলে দাবি হাত শিবিরের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুনর্গণনা করিয়ে তৃণমূল তাদের দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। আর সেই ব্যাপারেই কংগ্রেস কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এদিন সেই মামলাতেই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, কংগ্রেসের প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দিতে হবে। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বহুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এই নির্দেশ রীতিমতো শাসকদলের ঘাম ছুটিয়ে দিল বলেই মনে করছেন একাংশ। বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে পুলিশকে ব্যবহার করে সব কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল। বিরোধীদের বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনেও সেই পুলিশি হস্তক্ষেপ বারবার নজরে আসছে। ভোটে প্রহসন তো বটেই। এমনকি গণনা কেন্দ্রেও জোর করে বিরোধী প্রার্থীদের এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে প্রমাণ হয়ে গেল যে, এই শাসক দল গণতন্ত্রকে সব সময় হত্যা করার জন্য তৎপর। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার সক্রিয়তার কারণে তারা এবার পুরুলিয়ার ঝালদার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও মুখ পোড়ালো। তাই এ থেকে অন্তত শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাজটা শুরু করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেস হয়ত মামলা লড়ে এই জয় নিয়ে এসেছে। কিন্তু রাজ্যে এরকম বহু পঞ্চায়েত রয়েছে, যেখানে জোর করে বিরোধীদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনা কেন্দ্রে পুলিশ প্রশাসনের শক্তিকে ব্যবহার করে সেই কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই নির্বাচন যে ঠিকমতো হয়নি, তা কংগ্রেস জয় পাওয়ার মধ্যে দিয়েই আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। জাস্টিস অমৃতা সিনহা যে নির্দেশ দিলেন, তার ফলে আরও একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে গেল, সব জায়গায় পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে কার্যসিদ্ধি করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যায় করলে তার ফল পেতেই হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -